নিজস্ব চিত্র।
মাঘি পূর্ণিমায়, রবিবার হুগলির ত্রিবেণীতে শুরু হল কুম্ভমেলা। বাঁশবেড়িয়ার বিদায়ী পুর প্রশাসক আদিত্য নিয়োগী জানিয়েছেন, প্রতি বছর হবে কুম্ভমেলা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫১ জন সন্ন্যাসী এসেছেন। করোনা কালে এ ভাবে মেলা আয়োজন ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।
শনিবার ত্রিবেণী ডাকাত কালীবাড়িতে মহাদেব প্রতিষ্ঠার পর পদযাত্রা করে ত্রিবেণী ঘাটে আসেন সাধুরা। সেখানেই হোমকুণ্ড বানিয়ে চলে যজ্ঞ এবং পুজো পাঠ। উপস্থিত ছিলেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। কয়েক হাজার ভক্ত জড়ো হন ত্রিবেণীর কুম্ভতে। গঙ্গা স্নান করে নাগা সাধুদের আশীর্বাদ নেন।
আদিত্য নিয়োগী বলেন, ‘‘বাঁশবেড়িয়ার তিন জন সনাতন ধর্ম নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁরা তথ্য প্রমাণ দিয়ে জানিয়েছেন, ৭০২ বছর আগে এই ত্রিবেণীতেই কুম্ভমেলা বসত। তৎকালীন শাসকরা যুদ্ধের কারণে সেই মেলা বন্ধ করে দেন। পরবর্তীকালে সেই কুম্ভমেলা এলাহাবাদে চলে যায়। গবেষকেরা যখন আমাদের কাছে অনুরোধ করেন যে ত্রিবেণীতে কুম্ভ মেলা করতে চান, আমরা তাঁদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিই। কোনও প্রচার করা হয়নি, তা সত্ত্বেও শুধু মুখে মুখে জেনে এখানে বহু মানুষের সমাগম হয়েছে।’’
করোনাকালে গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজন ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল। এখনও করোনার প্রকোপ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়নি রাজ্য তথা দেশ। এই সময় হাজার মানুষের জমায়েত করে মেলার আয়োজন কেন? প্রশ্ন উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy