—প্রতীকী ছবি।
তারকেশ্বর লাইনে বাড়তে চলেছে ট্রেনের গতিবেগ। বুধবার তার ট্রায়াল রান সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল। রেলের দাবি, এর ফলে যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে যাবে। যদিও যাত্রীদের একাংশের বক্তব্য, ট্রেনই তো চলে না সময় মতো। গতি বাড়িয়ে লাভটা কী হবে? সুবল মিশ্র নামে শেওড়াফুলির এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘ট্রেনের গতিবেগ বাড়ানো হচ্ছে, ভাল কথা। এর সঙ্গে ট্রেনও যাতে সঠিক সময়ে চলে। স্টেশনে গিয়ে যাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়। গতিবেগ পরে, আগে পরিষেবা ঠিক হোক।’’
ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে শেওড়াফুলি-আরামবাগ লাইনে দৌড়য় লোকাল ট্রেন। ১৫টি স্টেশন পাড়ি দিতে সময় লাগে মেরেকেটে দেড় ঘণ্টা। ভবিষ্যতে ওই পথেই ট্রেনের সর্বাধিক গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। রেল জানিয়েছে, বুধবার তারকেশ্বর থেকে দুপুর ২টো নাগাদ চার কামরার একটি ট্রেন ছাড়া হয় পরীক্ষামূলক ভাবে। সেটি শেওড়াফুলি পৌঁছয় দুপুর ২টো বেজে ২৭ মিনিটে। অর্থাৎ, মাত্র ২৭ মিনিটে ৩৪ কিলোমিটার পাড়ি দেয় ট্রেনটি। রেল সূত্রে থবর, ট্রায়াল রানে ট্রেনের সর্বাধিক গতিবেগ ছিল ১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এই হিসাবে দেখলে, রেল সূত্রে দাবি, শেওড়াফুলি-আরামবাগ লাইনের ওই ১৫টি স্টেশন মাত্র এক ঘণ্টায় পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে।
শেওড়াফুলির স্টেশন ম্যানেজার রাম আধার প্রসাদ বলেন, ‘‘ট্রেনের গতি বাড়লে যাত্রীদের সুবিধা হবে। অনেক কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। এখন ৮০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলে। ভবিষ্যতে গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। আজ তার ট্রায়াল রান হয়েছে। সেটি সফলও হয়েছে। ওই গতিতে ট্রেন কবে থেকে ছুটবে, তা রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ঠিক করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy