—নিজস্ব চিত্র।
ফুরফুরা হাই মাদ্রাসার ভোটে ৬-০তে পরাস্ত হল তৃণমূল। জয় পেল সিপিএম-আইএসএফ জোট। মাদ্রাসার ছ’টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ হয় রবিবার। ৫৫০ জন অভিভাবকের মধ্যে ৩২২ জন অভিভাবক ভোট দেন। সন্ধ্যার পর ভোটগণনা শেষ হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন সিপিএম-আইএসএফ সমর্থকেরা।
পঞ্চায়েতের ভোট গণনায় কারচুপি করতে তৃণমূল ফুরফুরা দখল করেছিল বলে অভিযোগ ছিল বাম-আইএসএফের। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিনেও ব্যাপক বোমাবাজি, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আইএসএফের দাবি, মাদ্রাসার ভোটে তার জবাব দিয়েছে তারা। পঞ্চায়েত নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। মাদ্রাসায় নির্বাচন করানোর জন্যেও উচ্চ আদালতে যেতে হয়েছিল আইএসএফকে।
২০১১ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি ফুরফুরা মাদ্রাসায়। আদালতের নির্দেশেই রবিবার নির্বাচন হল। কড়া পুলিশি ব্যবস্থা ছিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সিপিএম ফুরফুরা এড়িয়া কমিটির সদস্য শামসুল আরিফি বলেন, ‘‘শাসকদল জোর করে পঞ্চায়েত দখল নিয়েছিল। বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল, ফুরফুরার মানুষ অশান্তি চান। আজ মাদ্রাসার নির্বাচনে ফুরফুরার মানুষ প্রমাণ করে দিলেনন, তাঁরা কী চান। ফুরফুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হল। পুলিশ প্রশাসন থেকে অভিভাবক, সকলকে ধন্যবাদ।’’ আইএসএফের আবু আহমেদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘২০১১ সালের পর থেকে মাদ্রাসায় ভোট করতে দেয়নি। আমরা আদালতে মামলা করেছি। একবার শিক্ষকেরা ভোটের দিন ঘোষণা করেছিলেন। কমিটি তা করতে দেয়নি। আজ ভোটে তার জবাব দিয়েছেন মানুষ। মাদ্রাসায় অনেক দুর্নীতি হয়েছে। এ বার সব বার করা হবে। আদালতের রায়ে ফুরফুরা পঞ্চায়েতও আমাদের হবে।’’
হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, ‘‘ফুরফুরা মাদ্রাসায় নির্বাচনে ছ’টা আসনে পরাজয় হয়েছে সামান্য ভোটের ব্যবধানে। মাদ্রাসা কমিটি গঠনের ভোট অভিভাবকদের ভোট। সেখানে কাউকে জোর করার প্রশ্ন নেই। তবু কেন পরাজয়, তা দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy