আচমকা ঘরে পাওয়া গেল গয়নার পুঁটুলি। প্রতীকী চিত্র।
এ এক ‘সৎ’ চোরের কীর্তি। সপ্তাহ খানেক আগে বৃদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরি করেছিল চোর। পুলিশে দায়ের হয়েছিল অভিযোগও। তদন্ত শুরু করার পর মঙ্গলবার চুরির সামগ্রী ফিরিয়ে দিয়ে গেল চোর! এমনই অবাক কাণ্ড ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ার শুঁড়িপাড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড শুঁড়িপাড়ার বাসিন্দা শোভনা লাহিড়ির বাড়িতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চুরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। সকাল ৭টা ১৫ মিনিট থেকে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট, এই আধ ঘণ্টার মধ্যে লোপাট হয়ে যায় শোভনার সোনার চেন, বালা, চূড়, আংটি-সহ প্রায় ৭ লক্ষ টাকার গয়না। এই নিয়ে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। বৃদ্ধা বাড়ির নীচ তলার ঘরে থাকেন। দোতলার ঘরে থাকেন তাঁর পুত্র দেবজিৎ, তাঁর স্ত্রী এবং নাতি।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি চুঁচুড়ার সোনার দোকানগুলিতেও খোঁজখবর শুরু করে। এর মধ্যেই শোভনা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ চুরি যাওয়া সব গয়না একটি পুঁটুলিতে বাঁধা অবস্থায় কেউ ফেলে যায় তাঁর ঘরে। তাঁর দাবি, সকালে বাড়ির পরিচারিকা সুমনা দাস ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে খাটের নীচে পুঁটুলিটি দেখতে পান। পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্জীব মিত্র বলেন, ‘‘চুরির পর আমি দেবজিৎকে বলেছিলাম, ‘‘দেখবি, চুরির সামগ্রী ফিরে পাবি।’ কারণ এর আগে এই ধরনের কয়েকটি ঘটনা দেখা গিয়েছে। তাতে চুরি হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও তাই হল। আসলে পুলিশ যে ভাবে তৎপর হয়েছে তাতে চোর বুঝতে পেরেছে চোরাই জিনিস হজম করা যাবে না।’’
শোভনা অবশ্য চুরি যাওয়া সামগ্রী ফিরে পাওয়া নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে তাঁর প্রতিবেশী অর্চনা বসু বলেন, ‘‘গত সোমবার শুনলাম চুরি হয়েছে। ওরা বলল ১২ ভরি মতো সোনা নাকি চুরি হয়েছে। তার পর পুলিশ এল। আজ সকালে শুনছি পুঁটলি বেঁধে ওই গহনা ফিরিয়ে দিয়ে গেছে চোর। অবাক লাগছে। চুরি হল, আবার দিয়েও গেল! গয়নাগুলোর কি হাত-পা গজাল! দু’দিন আগে এই শুঁড়িপাড়ার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের ঠাকুরের মুকুট চুরি হয়ে গেল। সেটা তো ফেরত দিয়ে যায়নি কেউ।’’ চোরাই গয়না ঘরের ভিতরে পাওয়া গেলেও থামেনি পুলিশি তদন্ত। কী ভাবে গয়না ফেরত এল তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy