স্থানীয়দের দাবি, ভাঙড়ের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা (বাঁ দিকে) আরাবুল ইসলাম এবং কাইজ়ার আহমেদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ধর্ষণে অভিযুক্ত। —ফাইল চিত্র।
ধর্ষণে অভিযুক্ত ভাঙড়ের তৃণমূল নেতাকে বাঁচাতে পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন শাসকদলের আরাবুল ইসলাম এবং কাইজ়ার আহমেদ জুটি। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করল বিজেপি। যদিও কাইজ়ারের পাল্টা দাবি, তাঁরা ন্যায়বিচারের জন্য থানায় গিয়েছিলেন। কারণ, অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করানোর নেপথ্যে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড়ের ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বার বার ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক মহিলা। তাঁর দাবি, অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাঁরা বিয়ে করবেন বলে স্থির করেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন ‘প্রেমিক’। তবে বিয়েতে তিনি রাজি হননি। বিয়ের কথা তোলায় তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভাঙড়ের ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৪১৭ (বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ), ৫০৬ (প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, ভাঙড় থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ধর্ষণের অভিযোগ করার পরই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন বলে দাবি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এবং কাইজ়ার আহমেদের ঘনিষ্ঠ অভিযুক্ত।
মঙ্গলবার ভাঙড় থানায় যান আরাবুল এবং কাইজ়ার। থানার বড়বাবুর সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথাও বলেন তাঁরা। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কাইজ়ারের দাবি, ‘‘তৃণমূলের ওই নেতাকে ফাঁসিয়েছে দলের অপর এক গোষ্ঠী। এখানে এক তোলাবাজ নেতা রয়েছেন, যিনি দলের নাম করে তোলাবাজি করছেন। তিনিই দলের অন্য গোষ্ঠীকে কালিমালিপ্ত করছেন। পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে এ কাজ করছেন তিনি।’’
কাইজ়ারের মন্তব্য ঘিরে শাসকদলের এই দুই নেতার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুনীপ দাস। তিনি বলেন, ‘‘ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূলের এক জন অভিযুক্ত। তবে এই ঘটনা নিয়েও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অভিযুক্তকে ছাড়ানোর জন্য আরাবুল ইসলাম এবং কাইজ়ার আহমেদ থানায় গিয়ে পুলিশের উপর চাপ দিচ্ছেন। তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী নাকি ধর্ষণের মামলা রুজু করিয়েছে। এঁরা সমাজের কলঙ্ক! এক মহিলা ধর্ষিত হয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করে দোষীর সাজা দেবে। কিন্তু তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করে দোষীকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। নিজের মেরুদণ্ড সোজা রেখে এ ধরনের পিশাচকে শাস্তি দিতে ভাঙড় থানার আইসি-কে অনুরোধ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy