অপেক্ষা: পাত পড়েছে আমতার কাষ্ঠ্যসাংড়া শিবানী ফ্রি প্রাথমিক স্কুলে। বুধবার দুপুরে। নিজস্ব চিত্র
স্কুলপড়ুয়াদের পুষ্টির অভাব যাতে না হয়, সেটা দেখাই কাজ এই প্রকল্পের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারের সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। অথচ সেই হারে মিড ডে মিল প্রকল্পে পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ বাড়েনি। তার জেরে পড়ুয়াদের বেহাল পুষ্টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন হাওড়ার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরাই। বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছে জেলার বহু শিক্ষক সংগঠন। তবে এ বিষয়ে কোনও আশার কথা শোনাতে পারেনিজেলা প্রশাসন।
শ্যামপুরের একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা সপ্তাহে একদিন করে পড়ুয়াদের ডিম দিতেন। তা বন্ধ করে শুধু নিরামিষ খাওয়ানো হচ্ছে। পাঁচলার একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের স্কুলে যে সব পড়ুয়া গরহাজির থাকে তাদের হিসাবও ধরে ব্লক প্রশাসনের কাছে খরচের বিল পাঠানো হয়। সেই টাকা ব্লক প্রশাসন দিয়ে দেয়। এইভাবেই ঠেকা দিয়ে কোনওক্রমে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্কট কাটাচ্ছেন বলে দাবি অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষর।
যে সব প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া বেশি তারা হাইস্কুলগুলির মতো গোঁজামিল দিয়ে খরচের টাকা আদায় করে সঙ্কট সামলাচ্ছেন। তবে ছোট স্কুলগুলির সমস্যাই বেশি। তাদের পড়ুয়া সংখ্যা কম থাকায় হাজিরায় গোঁজামিল দেওয়ার সুযোগ নেই। এই অবস্থায় প্রায় প্রতি মাসে নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন বলে অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন।
এই অবস্থায় মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছে শিক্ষকদের সংগঠনগুলি। আমত-১ ব্লকের একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা বিজেপি প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতা পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের স্বার্থেই বলছি, অবিলম্বে মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে বহুবার দাবি জানানো হয়েছে। ফের জানাব।’’
শিক্ষকদের দাবি যে ন্যায্য তা স্বীকার করে জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে যে সমস্যা হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্য সরকারের তরফে বারবার কেন্দ্রকে ছাত্রপিছু বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য চিঠি লেখা হচ্ছে। দেখা যাক, কী হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy