Advertisement
E-Paper

পাট্টা মিললেও জমি মেলেনি, অভিযোগ চার পরিবারের

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই চারটি পরিবার একলপ্তে থাকা একটি ৫৯ শতক জমির মধ্যে মোট ১১ কাঠা পাট্টা পান।

সরকারি পাট্টা জমিতে আলু চাষ। গোঘাটের বালি পঞ্চায়েতের মির্জাপুরে।

সরকারি পাট্টা জমিতে আলু চাষ। গোঘাটের বালি পঞ্চায়েতের মির্জাপুরে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৫
Share
Save

দু’বছর হয়ে গেল, মুখ্যমন্ত্রীর নিজ হাতে তুলে দেওয়া নির্দিষ্ট দাগের পাট্টা জমির এখনও দখল মেলেনি চারটি পরিবারের। সেই জমি গ্রাম কমিটির দখলে ছিল দাবি করে তারা দখল ছাড়েনি। পরে প্রশাসন থেকে একই দাগের যে জমি চিহ্নিত করে দিয়েছে সেই জমিতে আবার আগেই রায়ত আছে। এই পরিস্থিতিতে গোঘাট ১ ব্লকের বালি পঞ্চায়েতের মির্জাপুর মৌজার ওই পাট্টা প্রাপকেরা সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী দফতরে বিষয়টা জানিয়ে সুরাহা চেয়েছেন।

২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী চারটি যৌথ পাট্টা হিসেবে ২২ শতক জমির অধিকারপত্র তুলে দিয়েছিলেন মির্জাপুরের স্বামী-স্ত্রী মিলে আট জন ভূমিহীনকে। পাট্টা প্রাপকদের অভিযোগ, গ্রামবাসীদের একটা অংশের বাধায় চারটি পাট্টার নির্দিষ্ট দাগের জমির দখল পাচ্ছেন না তাঁরা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই চারটি পরিবার একলপ্তে থাকা একটি ৫৯ শতক জমির মধ্যে মোট ১১ কাঠা পাট্টা পান। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ তাঁরা সেই জমিতে আলু চাষ করেন। ২০২৩ সালের সেই আলু তোলার মুখে গ্রাম কমিটি দাবি করে, জমিটি তাদের দখলে আছে। তারা ওই জমির দখল নেয় বলে অভিযোগ। গ্রাম কমিটি থেকে পাট্টাদারদের আলু তুলে জমির বাইরে রেখে দিয়ে বাদাম বুনে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

গ্রামোন্নয়ন কমিটির অন্যতম প্রধান গোবিন্দ বাইরি বলেন, “৫৯ শতক খাস জমি, যতটা গ্রাম কমিটির দখলে ছিল সেটাই আগলে রেখেছি আমরা। আমাদের সঙ্গে পাট্টাদারদের সমস্যা গত বছরই মিটিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।” তাঁর দাবি, অতীত থেকে খাস জায়গাটি গ্রামোন্নয়ন কমিটির দখলে আছে। প্রতি বছর চাষের জন্য বিভিন্ন চাষিকে কাঠা পিছু ৩০০-৪০০ টাকায় বরাত দেওয়া হয়। সেই অর্থে গ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন এবং অনুষ্ঠানগুলি হয়ে আসছে। বরাত নেওয়া ওই চাষিরা জমির জন্য পাট্টার আবেদন করেছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে গোঘাট ১ বিডিও সম্রাট বাগচী বলেন, “আমরা তো পাট্টার দখল দিয়ে এসেছিলাম। সেই অনুযায়ী রিপোর্টও চলে গিয়েছে দফতরে। এখন সেই দখল দেওয়া জমি বেহাত হলে ভূমি দফতর দেখবে।”

ব্লক ভূমি সংস্কার দফতর থেকে বলা হয়েছে, পাট্টাদারদের চিহ্নিত করে দেওয়া দু’টি দাগের উপরে মামলা হয়েছে। এখনও ফয়সালা হয়নি। পুরো বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Arambagh

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}