পঞ্চায়েত কার্যালয় লন্ডভন্ড করেও কিছুই নিল না চোর! —নিজস্ব চিত্র।
অফিসের গুচ্ছ গুচ্ছ ফাইল ওলটপালট। তবে চুরি যায়নি কিছুই। পুরো কার্যালয়ে ১১টি আলমারি ছিল। সবগুলোর ‘লক’ ভাঙা। লকার, ড্রয়ার সব কিছুই ভেঙেছে। কিন্তু কিছুই নিল না চোর। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য হুগলির চণ্ডীতলার নৈটি গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রশ্ন উঠেছে, কী উদ্দেশ্যে সন্তর্পণে অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হল? আবার ওই পঞ্চায়েত অফিসের কাছাকাছি দু’টি স্কুলেও তালা ভেঙে ঢুকেছিল চোর। ওই দুই স্কুলেরও আলমারির ‘লক’ ভাঙা হয়েছে। তবে সমস্ত জিনিসপত্র অটুট রয়েছে। শুধুমাত্র সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক নিয়ে গিয়েছে চোর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নৈটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কর্মী শুক্রবার সকালে অফিসে এসে দেখেন গেটের তালা ভাঙা। অফিসে ঢুকে দেখেন লন্ডভন্ড দশা। তাঁর মাধ্যমে পঞ্চায়েতের অন্যেরা খবর পেয়ে কার্যালয়ে চলে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পঞ্চায়েত প্রধান এবং সদস্যরা অফিসের এ দিক-ও দিক ঘুরে দেখেন কোনও কিছুই চুরি যায়নি। কিন্তু ভাঙচুর হল কেন? চণ্ডীতলার নৈটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস মান্না বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের এক মহিলা কর্মী প্রথম দেখতে পান যে তালা ভাঙা। তার পর তিনি দেখেন পঞ্চায়েতের ১১টি আলমারিই ভাঙা। লকার ভাঙা। এমনকি, টেবিলের ড্রয়ারও ভাঙা। সমস্ত জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অফিসে অল্প কিছু টাকা ছিল। পঞ্চায়েতেরই। ছিল ল্যাপটপ, ফাইলপত্র। সব যেমন ছিল, তেমনই আছে। কিছুই খোয়া যায়নি। তা হলে কী জন্য চোর এসেছিল? সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। পঞ্চায়েতের সিসি ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়ে গিয়েছে। যার ফলে বোঝার উপায় নেই যে চোর এক না একাধিক ছিল।’’
একই রকম ভাবে বাঁকাগাছা প্রাথমিক স্কুল এবং জনাই ভগবানদেবী গোয়েন্কা গার্লস হাই স্কুলেরও তালা ভাঙা হয়েছে। গার্লস স্কুলের সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক খুলে নিয়ে গিয়েছে চোর। তিনটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy