হাওড়া শহরের ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ডকে ‘ডেঙ্গিপ্রবণ’ বলে সোমবার ঘোষণা করল পুরসভা। ওই ওয়ার্ডগুলিতে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুর স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীরা এখন থেকে ওই ওয়ার্ডগুলিতে বিকেলে ও সন্ধ্যায় মশা মারার তেল, ধোঁয়া এবং ব্লিচিং ছড়াবেন।

রবিবার পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের যোগীন মুখার্জি লেনে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় রিয়া চট্টোপাধ্যায় নামে আট বছরের এক বালিকার। তার পরেই নড়ে বসে পুরসভা। এ দিন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর নেতৃত্বে পুরসভার স্বাস্থ্য, নিকাশি এবং জঞ্জাল অপসারণ দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কোথায় ডেঙ্গির মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে, তা পরীক্ষা করে ধ্বংস করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

ঘটনাচক্রে, যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিল ওই বালিকা, সেই এলাকায় ফের ডেঙ্গির লার্ভার সন্ধান পেয়েছেন পুরকর্মীরা। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বালিকার বাড়ির পাশেই একটি বাড়ির ছাদে পড়ে থাকা বোতলের জলে লার্ভা মেলে। পুরকর্মীরা এলাকায় মশা মারার তেল, ব্লিচিং ও ধোঁয়া ছড়ান।

এ দিনের বৈঠকের পরে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা নিধন করার দায়িত্ব একটি বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হবে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল টিম যেমন কাজ করত, তেমনই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেবেন।’’ চেয়ারপার্সন জানান, হাওড়া পুরসভায় কোনও পতঙ্গবিদ নেই। তিনি এক জন পতঙ্গবিদ নিয়োগের জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানাবেন। সুজয়বাবু জানান, বিভিন্ন এলাকায় আচমকা অভিযান চালানো হবে। পুরকর্মীদের কাজের উপরেও নজর রাখা হবে।