হাওড়ার ডোমজুড় ও সাঁকরাইল ব্লকের যেখান থেকে সরস্বতী নদী বয়ে গিয়েছে, সেই ব্লকের দু’পাশে দখলদারির কারণে নদীতে নোংরা, আবর্জনা পড়ছে। ফাইল ছবি
সরস্বতী নদীর দূষণ কমানোর প্রেক্ষিতে হলফনামা জমা দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল।
সরস্বতী নদীর পুনরুজ্জীবনের জন্য তাকে ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল এই মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালত গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালত এনএমসিজি কর্তৃপক্ষকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রান্ত হলফনামা জমা দিতে বলেছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার শুনানির সময়ে এনএমসিজি কর্তৃপক্ষের তরফে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য আরও দু’সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়।
মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘এ ভাবে ক্রমাগত হলফনামা জমা দেওয়ার সময়সীমা পিছোলে নদীর দূষণ আটকানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কারণ, সরস্বতী নদীর দূষণ যে মাত্রাছাড়া, তা আদালত গঠিত কমিটির রিপোর্টেই স্পষ্ট।’’
প্রসঙ্গত, হাওড়ার ডোমজুড় ও সাঁকরাইল ব্লকের যেখান থেকে সরস্বতী নদী বয়ে গিয়েছে, সেই ব্লকের দু’পাশে দখলদারির কারণে নদীতে নোংরা, আবর্জনা পড়ছে। যে কারণে নদীর জলের গুণমান নষ্ট হচ্ছে। নদীর দূষণ খতিয়ে দেখতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এমনই রিপোর্ট পেশ করেছিল।
আদালতের কাছে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি আরও জানিয়েছিল, ডোমজুড় এবং ত্রিবেণীর কাছে সরস্বতী নদী গঙ্গায় মিশছে। গঙ্গাদূষণ কমানোর জন্যই সরস্বতী নদীর দূষণ কমানো জরুরি। তাই এনএমসিজি প্রকল্পের অধীনে সংশ্লিষ্ট নদীকে আনার সুপারিশ করেছিল কমিটি। যা নিয়ে বৃহস্পতিবারও কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৯ নভেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy