ফাইল চিত্র।
আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই এ বার মিলবে ট্রেড লাইসেন্স। এ জন্য আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি নতুন পোর্টাল চালু করছে হাওড়া পুরসভা। বর্তমানে অনলাইনে আবেদন করার তিন দিন পরে লাইসেন্স পাওয়া যায়। সেই সময়টুকুও এ বার থেকে আর লাগবে না বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।
অভিযোগ, দালাল চক্রের হাতে পড়ে এত দিন ট্রেড লাইসেন্স দফতরে চরম হয়রানির শিকার হতেন সাধারণ মানুষ। নতুন ট্রেড লাইসেন্স করতে বা লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করানোর জন্য ওই দালালদের হাতে টাকা না দিলে সহজে কাজ হত না। এই দালাল-রাজ শেষ করতে গত মে মাসে তৎকালীন চেয়ারপার্সন তথা সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বে পুর প্রশাসকমণ্ডলী অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স ব্যবস্থা চালু করেন। তখন জানানো হয়েছিল, আবেদন করার দিন তিনেকের মধ্যে ঘরে বসেই মিলবে লাইসেন্স। তার পুনর্নবীকরণও সম্ভব হবে। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছিল, এই পদ্ধতি আরও দ্রুত করার জন্য আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই লাইসেন্স দিতে একটি পোর্টাল তৈরি হচ্ছে।
গত ১৭ অগস্ট হাওড়া পুরসভায় রদবদল হয়। সুজয় চক্রবর্তীকে চেয়ারপার্সন করে ১০ সদস্যের একটি নতুন পুর প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করা হয়। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই সব দফতরকে বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন সুজয়বাবু। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তাঘাট ও নিকাশির উন্নতির পাশাপাশি মানুষের পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সব ক’টি বিভাগ যাতে দ্রুত বকেয়া কাজ সেরে ফেলে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সে জন্য ট্রেড লাইসেন্স দফতরের কাজ আরও দ্রুত করতে নতুন পোর্টালের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সেটি চালু করা যাবে। তা হলে আবেদনকারীরা বাড়িতে বসে ফি জমা দেওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।’’
হাওড়া পুরসভায় কোষাগারের অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় পূর্বতন পুর প্রশাসকমণ্ডলী রাজস্ব আয়ের দিকেও জোর দিয়েছিল। এর জন্য সম্পত্তি করের ক্ষেত্রে ওয়েভার প্রথা চালু করতে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। যাতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বকেয়া করের কিছুটা তোলা যায়। সেই সঙ্গে সম্পত্তি কর, ট্রেড লাইসেন্স, ভবনের নকশার অনুমোদনের মতো রাজস্ব আদায়ের বিভাগগুলির ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালুর উপরে জোর দেওয়া হয়।
হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে সম্পত্তি কর ও ট্রেড লাইসেন্সের অনলাইন ব্যবস্থা চালু হয়ে গিয়েছে। ভবনের ক্ষেত্রে নতুন পোর্টাল তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। সব ক’টি দফতরে অনলাইন ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে রাজস্ব আদায় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy