Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Dam Construction

এখনও পুরো সরেনি বোরো বাঁধ, উদ্বেগ সেচ দফতরের

এগুলির মধ্যে খানাকুল ২ ব্লকের মুণ্ডেশ্বরী নদীর চিংড়া ও শশাপোতা এবং স্যাকরার বোরো বাঁধ সরাসরি জেলা পরিষদ দরপত্র ডেকে নির্মাণ করে।

ময়ালে দ্বারকেশ্বর নদের উপর ‘বোরো বাঁধ’।

ময়ালে দ্বারকেশ্বর নদের উপর ‘বোরো বাঁধ’। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৭
Share: Save:

বর্ষায় আরামবাগ মহকুমার নদ-নদীর জল বাড়ছে। কিন্তু সেচের জন্য ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় দু’টি নদ-নদীর গর্ভে মাটি ফেলে নির্মিত অস্থায়ী বেশির ভাগ ‘বোরো বাঁধ’ যথাযথ কাটা হয়নি এখনও। বোরো বাঁধগুলি লম্বায় প্রায় ৫০-৬০ মিটার। জলের চাপ বাড়লে পরিস্থিতি যাতে জটিল না হয়, যাতে নদীবাঁধ না ভাঙে, সে জন্য ওই সব বাঁধ অবিলম্বে পুরোপুরি সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করল মহকুমা সেচ দফতর।

বোরো বাঁধগুলি জুন মাসের গোড়ায় কেটে সরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল জানিয়ে জেলা সেচ দফতরের এক আধিকারিকের খেদ, “জুন মাসের গোড়াতেই বৈঠক করে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে দ্রুত বোরো বাঁধ সরিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু জেলা পরিষদের কাজগুলি ছাড়া অধিকাংশ জায়গায় ৪-৫ মিটার কাটা হয়েছে। বাকিটা জলের তোড়ে ভেসে যাবে মনে করে ঠিকাদাররা কাজ সম্পূর্ণ করছেন না।” এতে জলের চাপ বাড়লে বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়ার যেমন আশঙ্কা থাকছে, তেমনই নদ-নদীর গর্ভে মাটি পড়ে থাকায় জল ধারণ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। দফতরের উদ্বেগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে জানানো হয়েছে বলে জানান ওই সেচকর্তা।

মহকুমায় বোরো বাঁধ মোট ১২টি। খানাকুল ২ ব্লক এলাকায় মুণ্ডেশ্বরী নদীতে ৪টি, খানাকুল ১ ব্লকের অধীন দ্বারকেশ্বর নদে ৭টি এবং দ্বারকেশ্বর নদেই আরামবাগ ব্লক এবং গোঘাট ১ ব্লকের সংযোগস্থল স্যাকরায় ১টি। এগুলির মধ্যে খানাকুল ২ ব্লকের মুণ্ডেশ্বরী নদীর চিংড়া ও শশাপোতা এবং স্যাকরার বোরো বাঁধ সরাসরি জেলা পরিষদ দরপত্র ডেকে নির্মাণ করে। এই বোরো বাঁধগুলি প্রায় পুরোপুরি সরানো হলেও খানাকুল ১ ব্লকে দ্বারকেশ্বর নদের উপর ৭টি বোরো বাঁধ ৪-৫ মিটার করে মাত্র কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ।

খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির পুরোপুরি না সরানো বোরো বাঁধগুলি নিয়ে বিডিও শুভজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, “সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েতগুলিকে দু’এক দিনে সব বোরো বাঁধ কেটে সরিয়ে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। বুধবার থেকে সেই কাজও
শুরু হয়েছে।”

পঞ্চায়েত সমিতির অধীন বোরো বাঁধগুলি কেন পঞ্চায়েতকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকাদারদের দু’বছর ধরে বোরো বাঁধ বাঁধার এবং কাটার বহু টাকা বকেয়া থাকায় তাঁদের কাজে উৎসাহিত করা যাচ্ছে না। বিপর্যয় হলে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এলাকা বিপন্ন হবে। তাই পঞ্চায়েত এলাকার সাধারণ মানুষই এই কাজে শামিল হতে চান।

ঠিকাদারদের কিছু পাওনা বাকি আছে স্বীকার করে জেলা পরিষদের এক বাস্তুকার বলেন, “তহবিল অনুযায়ী ঠিকাদারদের বকেয়া দফায় দফায় মেটানো হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Arambagh River Dam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy