পুলিশ সূত্রে খবর, আল কায়দা গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে নাসিমের। তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর হয়ে প্রচারও করতেন। —প্রতীকী চিত্র।
বাংলায় আবার আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার। এ বার হুগলি থেকে। জঙ্গি সন্দেহে হুগলির দাদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় নাসিমউদ্দিন শেখ নামে এক যুবককে। মুর্শিদাবাদের ওই যুবককে তাঁর মামার বাড়ি থেকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হুগলির দাদপুর থানা এলাকার হাজারপাড়া গ্রামে মামার বাড়ি নাসিমউদ্দিনের। অসুস্থ দিদিমাকে দেখতে রবিবার বিকেলে সেখানে আসেন নাসিম। মঙ্গলবার সকাল ৫টা নাগাদ সবাই যখন ঘুমিয়ে, তখন ওই গ্রামে ঢোকে পুলিশের গাড়ি। দরজায় কড়া নাড়ে এসটিএফ। নাসিমের মামা গোলাম মোস্তাফা জানান, দরজা খুলতেই তাঁকে পুলিশ জিজ্ঞাসা করে, নাসিম কোথায়। তখন দোতলার ঘরে ঘুমিয়েছিলেন নাসিম। তাঁর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ঘরে ঢুকে ভাগ্নেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আল কায়দা গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে নাসিমের। তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর হয়ে প্রচার করতেন। দাদপুর থানায় নিয়ে গিয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করিয়ে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গোলাম মোস্তাফা নামে ধৃতের মামা বলেন, ‘‘ভাগ্নে পাঁশকুড়ায় থাকত পড়াশোনার জন্য। মাঝেমধ্যে আসত এখানে। দিদিমার শরীর খারাপ শুনে ও এসেছিল। পুলিশ আধিকারিক যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা বললেন, ভাগ্নে নাকি জেহাদি কাজে যুক্ত! ওঁরা মইনুদ্দিন নামে কাউকে চেনে কি না জিজ্ঞাসা করছিল। ভাগ্নে বলেছে, সে এমন কোনও কাজে যুক্ত নয়। আমরা অবাক।’’
গোলামের প্রতিবেশীরাও এই ঘটনায় হতবাক। নাসিমকে পাড়ার অনেকেই ভাগ্নে বলে ডাকেন। মনিরুল ইসলাম মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘নাসিম পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল। মঙ্গলবার পুলিশ এসে ওকে ধরে নিয়ে গেল। শুনলাম জঙ্গি কাজে নাকি যুক্ত। ভাবতেই পারছি না।’’
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর নভেম্বরে রাজ্যে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় মনিরুদ্দিন খান নামে এক ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তির সঙ্গেও জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার যোগ ছিল বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থেকে গ্রেফতার হন তিনি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রচুর তথ্যও মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy