Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
হাওড়ায় বিপদ নেই, দাবি জেলা প্রশাসনের
flood

flood: আবার বন্যা হবে না তো! আশঙ্কায় খানাকুল

প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে জল বাড়ছে হুগলির আরামবাগের দ্বারকেশ্বর এবং রূপনারায়ণ নদে। আর তাতেই বন্যার ভ্রুকুটি দেখছেন এলাকার বাসিন্দারা।

বাড়ছে রূপনারায়ণের জল। বুধবার খানাকুলের ধান্যগোড়ির জেলেপাড়া এলাকায়।

বাড়ছে রূপনারায়ণের জল। বুধবার খানাকুলের ধান্যগোড়ির জেলেপাড়া এলাকায়। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ ।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
খানাকুল ও উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২১ ০৭:০৪
Share: Save:

পুজোর আগেই বানভাসি হয়েছিল খানাকুল। মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে জল বাড়ছে হুগলির আরামবাগের দ্বারকেশ্বর এবং রূপনারায়ণ নদে। আর তাতেই বন্যার ভ্রুকুটি দেখছেন এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার সকাল থেকে খানাকুল-২ ব্লকের ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েতের শশাখালি এলাকার মাঠগুলি ডুবতে শুরু করেছে। গ্রামের মালতি সামন্ত, ঘোড়াদহের সুমন্ত মাইতি, কাগনানের রৌশনারা বিবিদের আশঙ্কা, ‘‘ফের ত্রাণ শিবিরে যেতেহবে না তো!’’

গত ৩১ জুলাই বন্যায় দ্বারকেশ্বর এবং রূপনারায়ণ নদের মোট ৬ জায়গায় বাঁধ ভেঙে এবং অসংখ্য জায়গায় ফুটো হয়ে বন্যাপ্লাবিত হয় খানাকুলের দুটি ব্লক। ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েত এলাকাতেই রূপনারায়ণের তিন জায়গায় বাঁধ ভেঙে গ্রামগুলি জলমগ্ন হয়। সেনাবাহিনী নামিয়ে হেলিকপ্টারে উদ্ধার কাজ চলে। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর অতিবৃষ্টির জেরে দ্বারকেশ্বর নদ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দিক থেকে আসা শিলাবতীর জলে ফুলে উঠে রূপনারায়ণ। সেই জলোচ্ছ্বাসেই ধান্যগোড়ির জেলেপাড়ার ভাঙন দিয়ে জল ঢুকে প্লাবিত হয় ধান্যগোড়ি পঞ্চায়েত সহ মাড়োখানা, জগৎপুর এবং রাজহাটি-১ পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ২৪টি গ্রাম। ফের ৩০ সেপ্টেম্বর এক দিকে বৃষ্টির জল, অন্য দিকে ডিভিসির ছাড়া জলে পুরো মহকুমা প্লাবিত হয়। তিন দফাতেই ত্রাণ শিবিরে উঠতে হয়েছিল এলাকার বাসিন্দাদের। এ দিন জলস্ফীতিতে তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ঘরভাসি মালতি, রৌশনারারা।

ধান্যগোড়ির উপপ্রধান দিলীপ সানকি বলেন, “গত তিন দফার বন্যায় বহু ঘর-বাড়ি, মাছ, প্রাণিসম্পদ নষ্ট হয়েছে। এ বার রূপনারায়ণে আর ১ ফুট জল বাড়লেই ফের বন্যার
আশঙ্কা আছে।’’

তবে জেলা সেচ দফতরের (নিম্ন দামোদর বিভাগ) এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তপন পাল বলেন, “দ্বারকেশ্বর নদের জল বিকেলে প্রাথমিক বিপদসীমার নীচে নেমে গিয়েছে। কটালের জন্য রূপনারায়ণের জল কিছুটা ফুলে আছে। তবে বিপদসীমার থেকে নেমেছে। আমরা সতর্ক আছি।”

পুজোর ঠিক আগে ডিভিসির ছাড়া জলে দামোদরের বন্যায় ভেসে গিয়েছিল উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সেই জল নেমে গিয়ে এলাকা আপাতত স্বাভাবিক। কিন্তু ফের তিন দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় নদীর জল বেড়ে ফের বন্যার আশঙ্কা করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এই বৃষ্টিতে দামোদরের জল বাড়েনি। ফলে বন্যার কোনও আশঙ্কা নেই।

অন্য বিষয়গুলি:

flood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy