কেশোরাম রেয়ন কারখানা নিজস্ব চিত্র।
বন্ধ হয়ে গেল কুন্তীঘাটের কেশোরাম রেয়ন কারখানা। মঙ্গলবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা গেটে কাজ বন্ধের নোটিস দেখতে পান। কর্মহীন হয়ে গেলেন প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক। মালিক পক্ষ জানিয়েছে, কোভিড ও লকডাউনে আর্থিক সমস্যা, বিক্রি কমে যাওয়া, উৎপাদিত পণ্য মজুত হয়ে যাওয়া, কয়লা এবং কাঁচামালের যোগান না থাকার কারণেই উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।
সুতো তৈরির এই কারখানায় একটি কেমিক্যাল ইউনিটও রয়েছে। সেটিও বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। মগরা থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কারখানার গেটে। কর্মীরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, উৎপাদিত পণ্য গুদামে মজুত হয়ে পড়ে রয়েছে কোভিড পরিস্থিতির কারণে। এছাড়াও, কয়লা এবং অন্যান্য কাঁচামালের অভাব রয়েছে। তাই আর্থিক ক্ষতি বাড়ছিল। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ততদিন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে।
কারখানার স্থায়ী শ্রমিক আফসার আলি বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহ ধরে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। বলছে কয়লা নেই। শ্রমিকরা তো কাজ বন্ধ করেননি।’’ বিশ্বজিৎ দাস নামে এক শ্রমিকের অভিযোগ, গত দু’মাস বেতন দেওয়া হয়নি। এপ্রিল মাসে অর্ধেক বেতন দিয়েছে। কারখানার শ্রমিক নেতা কুমুদ মালো বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বেতন ঠিকঠাক হচ্ছিল না। ১১ জুন কারখানার পাঁচটি ইউনিয়ন বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। তার পর থেকে দেখলাম উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল। সোমবার শ্রম দফতর, শ্রমমন্ত্রী, হুগলি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে পরিস্থিতি জানানো হয়। আর মঙ্গলবার সকালে কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়া হল। আমরা চাইছি সরকারি হস্তক্ষেপে আলোচনার মাধ্যমে কারখানা খুলুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy