জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার চার। — নিজস্ব চিত্র।
বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায় তিন বন্ধুকে নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করেছিল প্রেমিক। বন্ধুদের উপস্থিতিতে প্রেমিকার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতেও চেয়েছিল সে। তাতে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকাকে ঠেলে জলে ফেলে দিয়েছিল ‘ক্ষুব্ধ’ প্রেমিক। সাঁতার না জানায় পুকুর থেকে আর উঠতে পারেনি প্রেমিকা। জলে ডুবে মৃত্যু হয় তার। হুগলির জাঙ্গিপাড়ার শ্রীহট্ট এলাকায় কিশোরীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে এমনটাই দাবি করছে পুলিশ। রবিবার রাতে হুগলির হরিপালের খাজুরিয়া এলাকা থেকে ওই কাণ্ডে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিন জনই নাবালক। তাদের জেরা করে উঠে এসেছে এই তথ্য। ৪৮ ঘণ্টার মাথায় কিনারা হয়েছে ওই হত্যারহস্যের।
পুলিশের দাবি, দূর সম্পর্কের এক নাবালক আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। দশমীর রাতে সেই প্রেমিকের আহ্বানেই পুকুর পাড়ে গিয়েছিল বছর বারোর ওই কিশোরী। পুলিশের দাবি, প্রেমিকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাইকেল চালিয়ে ডাকাতিয়া খালের পাশ দিয়ে শ্রীহট্ট গ্রামের একটি পুকুরের পাড়ে তার সঙ্গে দেখা করে নাবালিকা। পুলিশের দাবি, এর পর সেখানে নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে চায় প্রেমিক। কিন্তু নাবালিকা বাধা দেয় তাতে। এর পর নাবালক প্রেমিক তার তিন বন্ধুকে ডাকে। তাদের মধ্যে দু’জন নাবালক এবং এক জন সাবালক। তারা সকলে মিলে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি করে নাবালিকা। হুগলি গ্রামীণের পুলিশে সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, আপত্তি করায় নাবালিকাকে পুকুরে ঠেলে ফেলে দেয় নাবালক। এর পর ওই কিশোরীকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে তার সাইকেল নিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। সাঁতার জানত না নাবালিকা। তার জেরে ডুবে মৃত্যু হয় তার। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি।
মেয়ের হত্যায় অভিযুক্ত চার জনের গ্রেফতারের খবর শুনে কিশোরীর মা বলেন, ‘‘অপরাধীদের শাস্তি হোক, তারা আত্মীয় বা যেই হোক। আমরা এটাই চাই।’’
পুলিশ জানিয়েছেন। ঘটনার সময় চার জনই মত্ত অবস্থায় ছিল। তাদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ এবং পকসো মামলার বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত পাঁচ অক্টোবর তারিখ অর্থাৎ দশমীর রাত থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না নাবালিকার। শুক্রবার জাঙ্গিপাড়া থানায় দায়ের করা হয় তাকে অপহরণের অভিযোগ। ওই সময় পুলিশ অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে বলেও অভিযোগ কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কোনও পুলিশকর্মীর গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোরীর সাইকেলটির এখনও খোঁজ মেলেনি বলেও জানিয়েছেন আমনদীপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy