লটারি বিক্রেতাদের প্রতিবাদ। —নিজস্ব চিত্র।
এক লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলনে নামলেন বিক্রেতারা। সংস্থা্টির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। পুনরায় আগের ভাউচার চালু এবং পুরস্কার চালুর দাবিতে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন বারাসত এলাকার সংশ্লিষ্ট সংস্থার লটারির টিকিট বিক্রেতারা। আগের ভাউচার এবং পুরস্কার আবার চালু না হওয়া পর্যন্ত লটারির টিকিট বিক্রি বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বারাসত জোনের একটি লটারি সেলার ইউনিয়ন। ফলে আপাতত ওই এলাকায় লটারি বিক্রি বন্ধ থাকছে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার থেকে বারাসত ময়না এলাকায় ওই লটারি কোম্পানির বিরুদ্ধে আন্দোলনে শুরু করেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের ভাউচার সংক্রান্ত সমস্যা, প্রথম পুরস্কার সরকারের ঘরে চলে যাওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ জানিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য লটারির টিকিট বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা যে আন্দোলন শুরু করেছেন, তা চলবে। বারাসত শহরে মাইকিং করে সব লটারি ব্যবসায়ীকে আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আবেদন জানান তাঁরা। লটারি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের ‘শোষণ’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, লটারির টিকিট বিক্রি করে যে কমিশন তাঁরা পাচ্ছেন, তাতে সংসার চালানোই সমস্যার হয়ে পড়েছে।
১০ অক্টোবর থেকে এক নামী লটারি কোম্পানির টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। আন্দোলনকারী ব্যবসায়ীদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই লটারিতে জেতা প্রথম পুরস্কার সরকারের ঘরে ফেরত যাচ্ছে বলে দেখানো হচ্ছে। তা ছাড়া, তাঁদের কমিশন কমাতে কমাতে এমন জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে, যেখানে এই ব্যবসা করে পেট চালানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক এক জন বহু বছর ধরে এই কোম্পানির লটারির টিকিট বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন। তাঁরা তাঁদের ব্যবসা ছাড়তে এক প্রকার বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু তার পর কী করবেন, এমন নানা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তাদের প্রতিক্রিয়া পেলে প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy