তৈরি হচ্ছে দৈবকপাড়ার প্রতিমা। — নিজস্ব চিত্র।
প্রতি বার মুখ বদলে যায় হুগলির চন্দননগরের দৈবকপাড়ার জগদ্ধাত্রী প্রতিমার। চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির নিয়ন্ত্রণে প্রায় দেড়শো পুজো হয় প্রতি বার। রং, সাজ ইত্যাদির তফাত থাকলেও প্রতিমার মুখ হয় একইরকম। তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রম দৈবকপাড়া।
কোথাও উৎসব শেষ। আবার কোথাও উৎসবের শুরু। এখন শুরু হয়ে গিয়েছে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন। শুধু হুগলি জেলা বা পশ্চিমবঙ্গেই নয় চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর খ্যাতি ছড়িয়েছে বিদেশেও। সারা বছর চন্দননগরের মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন এই উৎসবের জন্য। এ বারও মাস তিনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে মণ্ডপ এবং প্রতিমা তৈরির কাজ। চন্দননগরের হাটখোলা দৈবকপাড়ার সদস্যদের এখন নাওয়াখাওয়ার সময় নেই। জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতি বারই এই পুজোর জগদ্ধাত্রী প্রতিমার মুখ বদলে যায় । এই প্রতিমার মুখ ছাঁচের নয়। তা তৈরি হয় হাতে। কুমোরটুলির শিল্পীর হাতে গড়ে ওঠেন দেবী হৈমন্তিকা। দৈবকপাড়া বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্য অরিন্দম পাল বলেন,‘‘এ বছর আমাদের পুজো ৫০ বছরে পদার্পণ করেছে। প্রতি বছরই আমাদের পুজোয় নতুন নতুন চমক দেখা যায়। এ বার আমাদের থিম ‘উদ্যাপন’। কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। বাঁশের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে লোহার কাঠামো। এ ছাড়াও রয়েছে স্টিল, প্লাই এবং কাপড়।’’
মণ্ডপ এবং প্রতিমার পাশাপাশি আলোকসজ্জাতেও থাকছে নতুন চমক। আলোর জাদু দর্শনার্থীদের মন ভরাবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। দৈবকপাড়া বারোয়ারির থিমের স্রষ্টা বিমল সামন্ত বলেন, ‘‘উৎসবের উদ্যাপন চলছে। তাই থিমের নামও উদ্যাপন। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় থিমের মণ্ডপ খুব একটা নতুন হয় না। সেই দিক থেকেও এ বার দৈবকপাড়া ব্যতিক্রম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy