ডানকুনিতে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বাইরে থেকে এসে প্রভাব খাটিয়ে সব দখল করতে চাইছে। এটা হতে পারে নাকি! এঁদের চাবকে সিধে করে দিতে হয়। বুধবার ডানকুনির টোল প্লাজায় তৃণমূল কর্মীদের এক রক্তদান শিবিরে এসে নাম না করে এ ভাবেই বিজেপি-কে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত বলেন, “আমার জন্ম এখানে। আমি মরবও এখানে। আমার ঘর, বাড়ি, পড়াশোনা, খেলাধুলো— সব এখানে।” এর পরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘বাইরে থেকে কেউ এসে যদি প্রভাব খাটিয়ে এই জায়গা থেকে তাড়িয়ে দিতে চায়, সেটা কখনও বরদাস্ত করা হবে না।’’ গায়ে হাত পড়লে পাল্টা যে তৃণমূলও দিতে পারে সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত। তৃণমূল সরকার রাজ্যবাসীর জন্য যথেষ্ট করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। সব কিছু দেওয়ার পরেও কিছু লোক ভুলভাল তথ্য রটিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও এ দিন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রশান্ত বলেন, “একটা মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব কিছুতেই টাকা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পড়াশোনার টাকা দিচ্ছে। খেলাধুলোর টাকা দিচ্ছে। তার পরেও যদি কেউ বলে কিছু হচ্ছে না, কিছু দিচ্ছে না, তখন মনে হয় এই মানুষগুলোর পিছনে কারা ঘুরছে! বেইমানের জাত যারা এইসব করে বেড়াচ্ছে।” এর পরই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, ভুল ত্রুটি অনেকেরই হয়, কিন্তু সেই ভুলকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছেন তাঁদের আর ফেরার দরকার নেই। কিন্তু যাঁরা আছেন তাঁরা যেন ভুল বুঝে একেবারে দল ছেড়ে বেরিয়ে না যান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় সকলের পাশে আছেন বলে দাবি করেন প্রশান্ত। তিনি বলেন, “এত মানুষের কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুল হলে সেটাকে বড় করে দেখার দরকার নেই। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যত দিন এই চেয়ারে থাকবেন, তত দিন আপনাদের কোনও দিন কোনও কষ্ট হবে না। এখনও অনেকের চাকরি হচ্ছে। আমরা জানি। মিথ্যা কথা বলে কখনও কাউকে খারাপ করা যায় না।” এই দল তাঁর একটা পরিবারের মতো। দলীয় কর্মীরা সেই পরিবারের সদস্য। তাই সেই কর্মীদের কারও অসুবিধা হলে তিনিও তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াবেন বলেও এ দিন আশ্বাস দিয়েছেন প্রশান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy