—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাঁচ বছর আগে ‘নির্মল জেলা’র তকমা জুটেছিল হাওড়ার। কিন্তু এখানকার জগৎবল্লভপুরের লস্করদিঘির পাড় এলাকায় এখনও উন্মুক্ত জায়গায় শৌচকর্ম অব্যাহত।
জায়গাটি পাতিহাল পঞ্চায়েত এলাকায়। সরকারি উদ্যোগে এখানকার গ্রামবাসীরা বাড়িতে শৌচাগার পাননি, এমন নয়। সব ক্ষেত্রে না হলেও বছর তিনেক আগে বেশ কিছু বাড়িতে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কয়েক বছরেই সেই শৌচাগারগুলি বেহাল হয়ে পড়ে। ভেঙে যায় দরজা। সেখানে আব্রু বাঁচিয়ে শৌচকর্ম করতে সমস্যা হয়। ভাঙা দরজার জায়গায় কাপড় ঢাকা দিয়ে মহিলারা তা কোনও ক্রমে ব্যবহার করলেও বাড়িতে শৌচাগার থাকা সত্বেও পুরুষদের অনেককেই মাঠে-ঘাটে যেতে হয়। এলাকায় ওই বিশাল দিঘি ছাড়াও রয়েছে শিশু শিক্ষাকেন্দ্র, শ্মশান। দিনের পর দিন এ ভাবে খোলা জায়গায় শৌচকর্মের জেরে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে, এমন অভিযোগও তুলছেন কেউ কেউ।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জন কুন্ডু বলেন, ‘‘আমরা স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পে বহু গণ শৌচাগার (কমিউনিটি টয়লেট) এবং বাড়ির শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু করতে চলেছি। ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান নিষ্ক্রিয় থাকার ফলেই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। যাঁদের বাড়িতে শৌচাগার নেই, তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতিকে দ্রুত জানালে ১৫ দিনের মধ্যে তৈরি করে দেওয়া হবে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান অঞ্জুশ্রী মল্লিক বলেন, ‘‘এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পঞ্চায়েতে আসেনি। পেলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
এই অব্যবস্থাকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিজেপি। দলের জগৎবল্লভপুর ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সুভাষ রায়ের অভিযোগ, ‘‘শৌচাগারগুলি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হওয়ার ফলে অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না করা হলে আন্দোলন করার পরিকল্পনাও রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy