জানুয়ারির শীতে ঘাম ঝরিয়ে বাসযাত্রা! —নিজস্ব চিত্র।
সংস্কারের কাজ চলছে। তাই ডানকুনি-শিয়ালদা শাখায় রেললাইনের ট্রেন চলাচল বন্ধ। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে যানচলাচল। কিন্তু অফিস টাইমে যাত্রীভোগান্তির চিত্র দেখা গেল শুক্রবারও। বালিঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর আসার লেনটি চালু রয়েছে। কিন্তু অন্য লেন বন্ধ থাকায় একটি রাস্তা দিয়ে চারচাকার গাড়ি থেকে বাইক চলছে। তার জেরে সকাল থেকে যানজট শুরু হয়েছে রাস্তাটিতে। যানবাহনের গতি যেমন ধীর, তেমনই বাসে বেশ ভিড় হচ্ছে। পিঠে ব্যাগ, পাদানিতে ঝুলতে ঝুলতে গন্তব্যে যাচ্ছেন প্রচুর মানুষ।
গত বুধবার থেকে চার দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বালি ব্রিজ (বিবেকানন্দ সেতু)-এর এক দিকের লেন। দক্ষিণেশ্বর থেকে বালিগামী ভারী গাড়িগুলিকে পাশের নিবেদিতা সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকে ওই সূচি মেনে কাজ শুরু হয়েছে বালি ব্রিজে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের এক দিকের লেন। বালি খাল থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাওয়ার লেনটি খোলা রয়েছে। ওই লেনটিতে শুধুমাত্র বাইক এবং তিন চাকার গাড়ি চলছে। চার চাকা ও বড় গাড়ি চলছে নিবেদিতা সেতু দিয়ে। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দু’চাকা এবং তিন চাকার যান চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নিবেদিতা সেতু দিয়ে যাতায়াতের কারণে ওই চার দিন বাসের ‘টোল ট্যাক্স’ লাগবে না। কিন্তু একই লেন দিয়ে প্রচুর গাড়ি ঢোকায় বালি খাল থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত লম্বা যানজট হচ্ছে।
ঠিক সময়ে অফিস পৌঁছতে না পারে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকে। জানুয়ারির শীতে বাসের ভিড়ে গলদঘর্ম যাত্রীরা। সেই ভিড়েই চলছে আলোচনা। নিত্যযাত্রীদের মত, প্রশাসনের আরও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা উচিত ছিল। এক হাতে বাসের হ্যান্ডল ধরে ঝুলতে থাকা মণীশ সান্যাল নামে এক যাত্রী বার বার চোখ বোলাচ্ছেন হাতঘড়িতে। তাঁর কথায়, ‘‘কখন অফিস পৌঁছব জানি না। চূড়ান্ত অব্যবস্থা।’’ অভিজিৎ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি অফিসের বাসে কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি যাওয়া-আসা করেন। কিন্তু অফিসের বাস যানজটে আটকে থাকায় রাস্তায় ঠায় দাঁড়িয়ে ওই যুবক। গজগজ করতে করতে অফিসযাত্রী বলেন, ‘‘আরও পরিকল্পনা করে কাজ করা উচিত ছিল।’’ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিকের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘দক্ষিণেশ্বরের দিকে কাজ শুরু হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy