হাওড়ার দিকে গঙ্গার ধারেও এ বার প্রথম আয়োজিত হচ্ছে বিসর্জনের কার্নিভাল। প্রতীকী ছবি।
রেড রোডের পাশাপাশি হাওড়ার দিকে গঙ্গার ধারেও এ বার প্রথম আয়োজিত হচ্ছে বিসর্জনের কার্নিভাল। পুজোর ভিড় সামাল দিতে আশপাশের জেলা থেকে অতিরিক্ত বাহিনী আনার পাশাপাশি কার্নিভালের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। ভিড় সামলাতে ষষ্ঠী থেকেই হাওড়া শহরে মোতায়েন করা হচ্ছে পাঁচ হাজার অতিরিক্ত পুলিশকর্মী। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্লাব কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে কার্নিভাল কী ভাবে হবে, তা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, নবান্ন থেকে নির্দেশ আসার পরেই হাওড়ায় প্রথম কার্নিভালের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গঙ্গাপাড়ে আপার ফোরশোর রোডে ৭ অক্টোবর, দ্বাদশীতে ওই কার্নিভাল হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই দিন দুপুরে হাওড়া স্টেশনের কাছে রেল মিউজ়িয়াম থেকে বিসর্জনের মিছিল শুরু হয়ে যাবে রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত। এর মাঝে একটি মঞ্চে থাকবেন অতিথি, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ওই অনুষ্ঠানের জন্য আপার ফোরশোর রোড সাজানো হবে আলো, ফুল, কাটআউট দিয়ে। এর পরে ট্রাকে করে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে প্রতিমা পৌঁছনোর পরে একে একে বিসর্জন দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, হাওড়ার প্রথম কার্নিভালে যোগ দিতে পারে ২০টিরও বেশি ক্লাব। সেই মতো ক্রমিক সংখ্যা অনুযায়ী ক্লাবগুলি রেল মিউজ়িয়ামের দিক থেকে আপার ফোরশোর রোডের দিকে প্রতিমা নিয়ে এগোবে।
হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘রেড রোডে যে ভাবে বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যেরা প্রতিমার আগে আগে গানবাজনা করতে করতে যান, হাওড়ার কার্নিভালে যোগ দেওয়া ক্লাবগুলিকেও তেমনই করতে বলা হয়েছে। ক্লাবগুলি ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে।’’
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্নিভালের সময়ে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে প্রথম কয়েকটি প্রতিমা বিসর্জনের পরে লম্বা লাইন পড়ে যেতে পারে। তাই ঠিক হয়েছে, রামকৃষ্ণপুর ঘাটের মোড় থেকে বিসর্জনের মিছিল ফোরশোর রোড দিয়ে ঘুরিয়ে ফের ওই জায়গায় নিয়ে আসা হবে।’’
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘হাওড়ায় পুজোর ভিড় সামলাতে কড়া ভাবে যান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অতিরিক্ত পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী ও হোমগার্ড মোতায়েন করা হচ্ছে। পুজোর চার দিন মালবাহী গাড়ি ঢোকা-বেরোনো বন্ধ থাকবে। ভিড় অনুযায়ী প্রয়োজন মতো বিভিন্ন রাস্তায় টোটো চলাচলও বন্ধ করা হবে।’’
সিপি আরও জানান, পুজোর জন্য এক জন এসিপি-র নেতৃত্বে বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। কোনও সমস্যা হলে সেখানে ফোন করলেই সাহায্য মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy