Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Patihal Panchayat

প্রধান-উপপ্রধানকে হেনস্থা, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ‘টায়েড’ ও ‘আনটায়েড’ তহবিলের কাজের পরিকল্পনা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সুদীপ দাস
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৮
Share: Save:

হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের তৃণমূল পরিচালিত পাতিহাল পঞ্চায়েতে মহিলা প্রধান এবং উপপ্রধানকে হেনস্থার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হল। অভিযোগ, বুধবার রাতে দলবল নিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে হামলা এবং প্রধান-উপপ্রধানকে হেনস্থা করেন তৃণমূলেরই সদস্য তথা শিল্প সঞ্চালক। তিনি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধানও। বিষয়টি থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ‘টায়েড’ ও ‘আনটায়েড’ তহবিলের কাজের পরিকল্পনা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার। এ দিন নির্দিষ্ট পোর্টালে কারিগরি সমস্যার ফলে ওই কাজ ধীরগতিতে হচ্ছিল। ফলে, রাত পর্যন্ত পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ওই কাজ চলছিল। পঞ্চায়েতের কর্মীদের পাশাপাশি প্রধান অঞ্জুশ্রী মল্লিক, উপপ্রধান চঞ্চল চন্দ-সহ কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দলবল নিয়ে পঞ্চায়েতে আসেন শিল্প সঞ্চালক বেচারাম বসু। তাঁকে না জানিয়ে কেন কাজ হচ্ছে, এই প্রশ্ন তোলেন বেচারাম। এই নিয়ে দু’পক্ষের তর্কাতর্কি হয়। ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি শুরু হয়। প্রধানকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ ঘোষের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

প্রধানের অভিযোগ, ‘‘আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। মাথায় আঘাত লাগে। এই ঘটনার পরে আর কাজ করা সম্ভব হয়নি।’’ উপপ্রধানের অভিযোগ, ‘‘স্বচ্ছতার সঙ্গে পঞ্চায়েত চালানোয় কারও কারও সমস্যা হওয়াতেই হামলা চালানো হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলমালের জেরে কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায়, বকেয়া কাজ শেষ করতে জেলা প্রশাসনের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। না হলে এলাকায় পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

হাওড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য সঞ্জীব মল্লিক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে জগৎবল্লভপুর থানায় বেচারাম, বিকাশ-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।

অভিযোগ মানেননি বিকাশ। তিনি বলেন, রাতে পঞ্চায়েতে আলো দেখে তিনি বেচারামকে ফোন করে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে বলেন। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। বেচারামের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বারে বারে চেষ্টা করেও তাঁর মোবাইল যোগাযোগ করা যায়নি। মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হলে জবাব মেলেনি।

জগৎবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিন্দনীয় ঘটনা। এমন ঘটনা দল একেবারেই সমর্থন করে না। আইন আইনের পথে চলবে। পঞ্চায়েতের অভিযোগ পেয়েছি। তা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি। দল বিষয়টি দেখছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Jagatballavpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy