বলে পা পুলক রায়ের। নিজস্ব চিত্র।
গোটা রাজ্যের সঙ্গে হাওড়া ও হুগলিতেও সোমবার পালিত হল ‘খেলা হবে’ দিবস। কোথাও প্রতিযোগিতা হয়েছে। বল পায়ে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে জনপ্রতিনিধিদের। কোথাও ক্লাব-সংগঠনকে ফুটবল বিলি করা হয়েছে। শাসক দলের মন্ত্রী-বিধায়করা অনুষ্ঠানে শামিল হন। দুই জেলাতেই খেলা দেখতে বহু দর্শক এবং তৃণমূল কর্মী ভিড় করেন। কোথাও দলীয় নেতাকে ঘিরে ভিড় করেন তৃণমূল কর্মীরা। কোভিড বিধি লঙ্ঘিত হয়।
হুগলিতে ১৮টি ব্লকে পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় খেলা নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও আইএফএ-র সহযোগিতায় প্রশাসন ও হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার আয়োজনে চতুর্দলীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা হয় শহরের ইস্টার্ন গ্রাউন্ডে। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি, সিপি অর্ণব ঘোষ, বিধায়ক অসিত মজুমদার প্রমুখ।
উত্তরপাড়া পুর-কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ক্লাবগুলিকে ফুটবল বিলি করে। কোন্নগর পুরসভার অরবিন্দ মাঠে ছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। পান্ডুয়ায় বিধায়ক তথা পরিবেশমন্ত্রী রত্না দে নাগ বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের হাতে ফুটবল তুলে দেন। সপ্তগ্রামে তৃণমূলের উদ্যোগে শিবপুর মাঠে আটদলীয় প্রতিযোগিতা হয়। ওই বিধানসভায় মালিপাড়ায় বিভিন্ন পঞ্চায়েতকে নিয়ে এমএলএ কাপ হয় শাসক দলের উদ্যোগে। আরামবাগ মহকুমায় ফুটবল এবং ভলিবল প্রতিযোগিতাও হয়। আরামবাগ শহরে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা ফুটবল হয়েছে।
হাওড়ার নানা এলাকায় বিভিন্ন ক্লাবের মধ্যে প্রদর্শনী ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়। ফুটবল বিলি করা হয়। বন্যা পরিস্থিতি থেকে সদ্য ঘুরে দাঁড়ানো আমতা-২ ব্লকে খেলা হয়নি। এখানে ব্লক অফিসে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ৪৯টি ক্লাবকে দু’টি করে ফুটবল দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন, ‘‘কোভিড বিধি মেনে অনুষ্ঠান হয়েছে। বন্যার জল শুকিয়ে গেলে খেলার আয়োজন করা হবে।’’
উলুবেড়িয়ার একটি ক্লাবের উদ্যোগে ১৬ দলের ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল এ দিন হয়। হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক তথা জনস্বাস্থ্য কারিগরিমন্ত্রী পুলক রায়। তিনি বলেন, ‘‘উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের ৮৭টি ক্লাবকে দু’টি করে ফুটবল দেওয়া হয়েছে।’’ উলুবেড়িয়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মহিলারা
ফুটবল খেলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy