লক্ষ্মীগঞ্জের বাজারই এখন ঠাঁই সুকুর। নিজস্ব চিত্র।
অবিকল যেন কবীর সুমনের সেই গানের প্রতিচ্ছবি— ‘এক মুখ দাড়ি-গোঁফ..... দৃষ্টি বিস্মরণে মগ্ন’!
বছর দুয়েক আগে হাওড়া স্টেশনে বিশেষ ভাবে মানসিক সক্ষম সুকুর দেখা পেয়েছিলেন নবকুমার মাহাতো। চন্দননগরের বাসিন্দা নবকুমারের ফাস্ট ফুডের দোকান আছে হাওড়া স্টেশন চত্বরে। সেখানেই দেখা গিয়েছিল ‘জটপড়া চুলে’র যুবক সুকুকে। নবকুমার তাঁকে খেতে দিতেন। কিন্তু কোথায় তাঁর বাড়ি সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারতেন না সুকু।
কিছু দিন পরেই করোনা পরিস্থিতির কারণে হয় শুরু হয় লকডাউন। দিনের পর দিন অভুক্ত, অর্ধভুক্ত থেকে কাহিল হয়ে পড়েন সুকু। পরিস্থিতি দেখে নবকুমার সুকুকে নিয়ে আসেন চন্দননগরে। সেখানে ব্যবসায়ীরা তাঁকে আপন করে নেন। বর্তমানে চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে সব্জি বিক্রেতাদের ফাইফরমাশ খাটেন। তাতেই দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটে সুকুর। রাত কাটে লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টিতে।
এরই মধ্যে একটু একটু করে স্মৃতি ফিরছে সুকুর। নাম বলার পাশাপাশি জানিয়েছেন, বিহারে তাঁর বাড়ি। সেখানে বাবা, মা, দুই ভাই আছেন। কিন্তু আর কিছুই মনে নেই তাঁর। সে বাড়ি ফিরে যেতে চাইলেন এখনও ঠিকানা না মেলায় সে পথ বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের সাহায্য নিয়ে সুকুকে ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী লক্ষ্মীগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। নেটমাধ্যমে ছবি দিয়ে সুকুর বাড়ির ঠিকানা জোগাড়ের চেষ্টাও চালাচ্ছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy