হরিপালে বিধবার রহস্যমৃত্যু। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পরিচিতকে ফোন করতে গিয়ে ভুল নম্বরে কল করেছিলেন। সেখান থেকে আলাপ এবং পরিচয়। ফোনের দু’প্রান্তের দু’জনের একে অন্যকে ভাল লেগে যায়। গত ৪ বছর ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। প্রেমিকা ফোন না তোলায় তাঁর বাড়ি বয়ে এসে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। হুগলির হরিপালের ইলাহিপুর এলাকার ঘটনা। মহিলার পরিবারের তরফ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্য দিকে, পলাতক অভিযুক্ত ‘প্রেমিক’।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম সীমা দুলে। ৩৮ বছর বয়সি ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির অদূরে একটি গাছ থেকে। পরিবারের অভিযোগ সীমাকে খুন করেছেন তাঁর ‘বন্ধু’।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর ২০ আগে সীমার বিয়ে হয় শ্রীরামপুর এলাকায়। কিন্তু বিয়ের দশ বছর পর সীমার স্বামী মারা যান। তার পর থেকেই বাপের বাড়িতেই দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। সংসার চালাতে পরিচারিকার কাজ করতেন। সীমার পরিবারের দাবি, জাঙ্গিপাড়ার হাজিপুর এলাকার বাসিন্দা মিলন বাউরির সঙ্গে তাঁদের মেয়ের পরিচয় হঠাৎ করে। ফোনের আলাপ গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। প্রয়শই ফোনে কথা বলতেন সীমা ও মিলন। বছর ৪ ধরে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের।
সম্প্রতি সেই সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। সীমার বাপের বাড়ির লোকজনের অনুমান, সম্ভবত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন সীমা। তার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। পরিবারে দাবি, গত কয়েক দিন মিলনের ফোন তোলেননি সীমা। এর পর মঙ্গলবার রাতে একেবারে সীমার বাড়িতে হাজির হন মিলন। কিন্তু তাঁকে দেখে মোটেই খুশি হননি সীমা। দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই কথা কাটাকাটির মধ্যে সীমার নাবালক পুত্র শাবল হাতে নিয়ে মিলনকে আঘাত করতে যায়। সেই শাবল কেড়ে সীমার ছেলে ও মেয়েকে মারধর করেন মিলন। এই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মিলন। সীমাও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এর পর বুধবার সকালে গ্রামেরই একটি পুকুরের কাছে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সীমার দেহ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সীমার দেহের পাশে একটি মুগুর পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। আর তাঁর পরনের শাড়িটি দিয়ে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। এ থেকে খুনের অনুমান করছেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিপাল থানার পুলিশ। দেওয়া, দুটো পা ভাঁজ করা মাটিতে ঠেকে ছিল। মৃতার ভাইয়ের অভিযোগ, ‘‘সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই দিদিকে খুন করেছে মিলন। ওর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে যাচ্ছি।’’
হরিপাল থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy