Wife allegedly runaway to Canada 3 days after wedding although husband paid 31 lakh for wife's study in abroad dgtl
Crime
বিদেশে পড়তে চাই! স্ত্রীর আবদারে ৩১ লক্ষ খসিয়ে বিয়ের ৩ দিন পরেই মাথায় হাত স্বামীর
পাত্রপক্ষের কাছ থেকে হবু স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণের প্রতিশ্রুতি আদায়ের পরই চার হাত এক হয়েছিল। সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন পঞ্জাবের দেবীন্দর সিংহ এবং হরজশনপ্রীত সিংহ। তার পর?
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ১৫:২৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়াশোনার ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের মেয়ের। পড়াশোনার খরচাপাতি জোগালে বিয়ের পর তাঁদের মেয়ের সঙ্গে পাত্রও তো বিদেশে গিয়ে থাকতে পারেন! বিয়ের আগে নাকি পাত্রপক্ষকে এমন কথাই বলেছিলেন পাত্রীর আত্মীয়স্বজনেরা। সেই বিয়ের দিন তিনেক পরেই মাথায় হাত স্বামীর!
প্রতীকী ছবি।
০২১৬
পাত্রপক্ষের কাছ থেকে হবু স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণের প্রতিশ্রুতি আদায়ের পরই চারহাত এক হয়েছিল। সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন পঞ্জাবের দেবীন্দর সিংহ এবং হরজশনপ্রীত সিংহ। তবে বিয়ের ৩ দিন পরেই স্ত্রী নাকি কানাডা উড়ে গিয়েছিলেন। তার পর?
প্রতীকী ছবি।
০৩১৬
সে কথাই পুলিশকে জানিয়েছেন মোগা জেলার বাসিন্দা গুরসেবক সিংহের ছেলে দেবীন্দর। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রীর উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাতে ৩১ লক্ষ টাকা খসে গিয়েছে। তবে উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করলেও বিয়ের ৩ দিনেই কানাডায় উড়ে গিয়েছেন স্ত্রী। এমনকি, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও রাখতে চান না।
প্রতীকী ছবি।
০৪১৬
২০১৮ সালের অগস্টে লুধিয়ানার বাসিন্দা সুখবিন্দর সিংহের মেয়ে হরজশনপ্রীতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দেবীন্দরের। মোগা জেলার পুলিশের কাছে দেবীন্দরের অভিযোগ, কানাডায় পৌঁছনোর পর তাঁর প্রতি স্ত্রী আচরণ একেবারে পাল্টে গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্কও ছিন্ন করেছেন নতুন বৌ।
প্রতীকী ছবি।
০৫১৬
বিয়ের দশ দিন পর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কাজের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ দেবীন্দরের। কানাডায় ফোন করলে তাঁকে নাকি গালিগালাজও করেছেন স্ত্রী।
প্রতীকী ছবি।
০৬১৬
স্ত্রীর রকমসকম দেখে শেষমেশ শ্বশুরবাড়ি ছুটে গিয়েছিলেন দেবীন্দর। তবে সেখানেও নাকি অপমানিত হতে হয়েছিল। পুলিশের কাছে এমন দাবিও করেছেন তিনি।
প্রতীকী ছবি।
০৭১৬
সংবাদমাধ্যমের দাবি, মোগা জেলার বাধনিকালাম থানায় স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন দেবীন্দর।
প্রতীকী ছবি।
০৮১৬
পুলিশের কাছে স্ত্রী ছাড়া শ্বশুর সুখবিন্দর সিংহ, শাশুড়ি হরপ্রীত কউরের বিরুদ্ধেও নালিশ ঠুকেছিলেন দেবীন্দর। এ ছাড়া, হরজিৎ সিংহ, আমনজ্যোত কউর নামে দু’জন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। ওই আত্মীয়েরা স্ত্রীর বাপের বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
প্রতীকী ছবি।
০৯১৬
গত বছর দেবীন্দরের কাহিনি ভেসে উঠেছিল সংবাদমাধ্যমে। ‘ভয়েস ফর মেন ইন্ডিয়া’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমটি দেবীন্দরের কাহিনি তুলে ধরেছে। প্রসঙ্গত, লিঙ্গপক্ষপাতমূলক আইনের বিরুদ্ধে সরব ওই সংবাদমাধ্যমটি পুরুষের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে শামিল।
প্রতীকী ছবি।
১০১৬
ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, অভিযোগ করলেও হরজশনপ্রীতের বিরুদ্ধে এফআইআর করতেই এগারো মাস কাটিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় পুলিশ। তার পর স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা রুজু করেছিল তারা।
প্রতীকী ছবি।
১১১৬
দেবীন্দরের দাবি, দু’পক্ষের সম্মতিতেই এ বিয়ে হয়েছে। বিয়ের আগে পাত্রীর আত্মীয়েরা জানিয়েছিলেন, বিদেশে গিয়ে পড়াশোনার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ় টেস্টিং স্টিস্টেম (আইইএলটিএস) পরীক্ষায় পাশ করেছেন হরজশনপ্রীত। প্রসঙ্গত, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পড়াশোনায় ইচ্ছুকদের ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক।
প্রতীকী ছবি।
১২১৬
দেবীন্দরের আরও দাবি, কানাডায় পা রেখেই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন হরজশনপ্রীত। কী গোলমাল হয়েছে? তা জানতে সঙ্গে সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি ছুটে গিয়েছিলেন। তবে সেখানে নাকি দুর্ব্যবহারই জুটেছিল।
প্রতীকী ছবি।
১৩১৬
শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরে স্ত্রীকে ফোন করলেও লাভ হয়নি। হরজশনপ্রীত তাঁর উদ্দেশে অকথ্য কটূক্তিও করেছিলেন বলে দাবি দেবীন্দরের।
প্রতীকী ছবি।
১৪১৬
স্ত্রীর ও তাঁর পরিবারের থেকে বঞ্চনার শিকার দেবীন্দর। এমন দাবি করেছিল ‘ভয়েস ফর মেন ইন্ডিয়া’। তাদের প্রশ্ন, এ ধরনের ঘটনায় সচরাচর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে যান না স্বামী। ফলে প্রতারণা করেও ছাড় পেয়ে যান স্ত্রী।
প্রতীকী ছবি।
১৫১৬
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করেছে ওই সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, পণের অভিযোগে স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে দ্রুত তৎপর হয় পুলিশ। তবে স্ত্রীর হাতে স্বামী নির্যাতিত হলে তাদের হেলদোল নেই।
প্রতীকী ছবি।
১৬১৬
যদিও এই ঘটনার তদন্তে নেমে মোগা জেলার পুলিশ জানিয়েছে, হরজশনপ্রীত-সহ তাঁর মা-বাবার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ এবং ১২০-বি ধারায় প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়েছে। হরজশনপ্রীতকে পাকড়াও করার চেষ্টা করছে পুলিশ।