ক্ষোভ: মৃত বৃদ্ধা মেনকা চৌধুরীর (ইনসেটে) ছেলে জয়ন্তকে ঘিরে গ্রামবাসীরা। নিজস্ব চিত্র
এক বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ছেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
রবিবার সকাল দশটা নাগাদ গলায় শাড়ি ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে উলুবেড়িয়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে যদুরবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মেনকা চৌধুরী (৬৯) নামে ওই বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ মেলে। খবর জানাজানি হতেই পড়শিরা এসে বৃদ্ধার ছেলে জয়ন্তর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বাড়ির সামনে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। অভিযোগ মানেননি জয়ন্ত।
পুলিশ জানায়, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
জয়ন্ত একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ১৭ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর ১৪ বছরের এক মেয়ে এবং ১০ বছরের এক ছেলে আছে।
কেন জয়ন্তর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের অভিযোগ?
বিক্ষোভকারীরা জানান, এক বছর আগে জয়ন্ত এক মহিলাকে বাড়িতে এনে রাখেন। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। মেনকাদেবী এটা মানতে না-পারায় প্রায়ই সংসারে অশান্তি হত।। দিনপনেরো আগে জয়ন্ত মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন বলেও গ্রামবাসীদের অভিযোগ। ছেলের অত্যাচারেই মেনকাদেবী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে গ্রামবাসীদের দাবি।
গৌতম জানা নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘জয়ন্ত দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালাচ্ছিলেন মা ও স্ত্রীর উপরে। তাই গ্রামবাসীরা এ দিন ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন। জয়ন্তর গ্রেফতারের দাবিতে আমরা জোট বেঁধে গণস্বাক্ষর করে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।’’
স্বামীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন জয়ন্তর স্ত্রী পিয়ালিও। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বাড়িতে বান্ধবীকে রেখে ও আমাদের উপরে অত্যাচার করত। শাশুড়ি এবং আমাকে মারধর করত। মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিত। ঠিকমতো খেতে দিত না।’’
পক্ষান্তরে, জয়ন্তর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর মা। তার জেরেই এ দিন আত্মঘাতী হয়েছেন। অত্যাচারের অভিযোগ উড়িয়ে জয়ন্ত আরও দাবি করেন, ‘‘স্ত্রী সংসারে ঠিকঠাক কাজকর্ম করে না। ছেলেমেয়ে, এমনকি, মায়ের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করছিল। বাধ্য হয়ে বান্ধবীকে বাড়িতে এনে রেখেছি। সংসারে কোনও অশান্তি ছিল না। তৃণমূল করি বলে গ্রামবাসীদের একাংশ আমার উপর রাগে দীর্ঘদিন ধরে কিছু করার একটা অজুহাত খুঁজছিল। তাইবিক্ষোভ দেখাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy