তৃণমূলনেতা খুনে তদন্তে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার নাজিরগঞ্জের তৃণমূল নেতা ওয়াজুল হক খানকে খুনের ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে চার যুবককে গ্রেফতার করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ থেকেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের এই নেতাকে। রাজনৈতিক কারণে খুন কি না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে তৃণমূল নেতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এলাকায় তোলাবাজির প্রতিবাদ করাতেই ওয়াজুলকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। পরিবারের তরফে তোলা এই দাবিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যান্য দিনের মতোই সোমবার রাতে নিজের বাড়ির কাছে ভাইয়ের বাড়ির দালানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সেরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ লিচুবাগানের বেগম রোকেয়া লেনে তাঁর বাড়ির সামনে কয়েক জন দুষ্কৃতী টোটোয় চেপে এসে খুব কাছ থেকে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ওয়াজুলের মাথায় একটি গুলি এবং বুকে দু’টি গুলি লাগে।
সোমবারই গুরুতর আহত অবস্থায় ওয়াজুলকে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ছুটে যান দলের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনে ওয়াজুল ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি-র সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলকে প্রচুর ভোটে জিতিয়েছে। মনে হচ্ছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে তাঁকে।’’
বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের আহ্বায়ক মণিমোহন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের বক্তব্য ভিত্তিহীন। বিজেপি খুনের রাজনীতি করে না। এই খুনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দিক প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy