শপথ নিলেন রেণু দেবী। ছবি পিটিআই।
নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন রেণু দেবী। বিহারের প্রথম মহিলা উপমুখ্যমন্ত্রী আদতে এ বঙ্গের বধূ। বিহারের বেতিয়ার রেণুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হাওড়ার জগাছার দুর্গাপ্রসাদের। বৈবাহিক সূত্রে তাই দীর্ঘ দিন রেণু জগাছাতেই থাকতেন। স্বামীর মৃত্যুর অনেক পরে তিনি বিহারে নিজের বাপেরবাড়ি ফিরে যান। তবে এখনও মাঝে মাঝেই সপরিবার জগাছার সেই বাড়িতে আসেন রেণু। শেষ বার এসেছিলেন দেশ জুড়ে লকডাউন চালু হওয়ার ঠিক আগেই।
রেণুর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খবর পেয়ে খুশি হাওড়ার ববনপ্রসাদ সিংহের পরিবার। কারণ দুই পরিবারের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এখনও রেণুর শ্বশুরবাড়ি দেখভালের দায়িত্ব এই পরিবারের উপরে। ববনপ্রসাদ জানালেন, রেণুর স্বামী দুর্গাপ্রসাদ ছিলেন একটি অর্থলগ্নি সংস্থার ফিল্ড অফিসার। জগাছার এই বাড়িতেই তাঁদের সন্তান জন্ম নেয়। ১৯৭৯-তে দুর্গাপ্রসাদ মারা যান। এর পর ওই অর্থলগ্নি সংস্থার ফিল্ড অফিরারের লাইসেন্স রেণু নিজের নামে ট্রান্সফার করে নেন। কাজ শুরু করেন জোরকদমে। দীর্ঘ দিন সে কাজ করেন।
এই বাড়িতেই থাকতেন রেণু দেবী। —নিজস্ব চিত্র।
কিন্তু হঠাৎ করে ওই সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন তিনি। ববনপ্রসাদের কথায়, ‘‘এর পর ১৯৮৯ সাল নাগাদ রেণু বিহারে বাপেরবাড়ি চলে যান। সেখানে গিয়ে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।’’ চলে যাওয়ার সময় শ্বশুরবাড়ি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়ে যান দুর্গাপ্রসাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ববনপ্রসাদকে। মাঝে মধ্যে সপরিবার হাওড়ার বাড়িতে আসেন রেণু। ববনপ্রসাদ জানান, তাঁদের দুই পরিবারের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আসাযাওয়া, কথাবার্তা প্রায়ই হয়।
ববনপ্রসাদের সঙ্গে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ মণীশ ও রিনা। —নিজস্ব চিত্র।
ববনপ্রসাদের ছেলে মণীশ কুমার জানান, তিনি রেণু দেবীকে ‘আন্টি’ বলে ডাকেন। তাঁর কথায় ‘‘আন্টি খুব ভাল মনের মানুষ। আমরা দুই পরিবার একসঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছি।’’ তবে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খবর পেয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফোন করলেও রেণুকে এ দিন ফোনে পাওয়া যায়নি বলেই জানালেন মণীশ। ববনপ্রসাদের পুত্রবধূ রিনা বলেন, ‘‘আন্টি বিহারের মহিলাদের জন্য ভাল কিছু করুন, এটাই চাই। ওই রাজ্যে অনেক মহিলাই পিছিয়ে রয়েছেন। আমরা আশাবাদী, বিহারের আরও উন্নতির জন্য আন্টি অনেক কাজ করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy