Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
West Bengal Recruitment Case

‘হয় সাজা দিন, না হলে ছেড়ে দিন’, সিবিআইয়ের প্রাথমিক মামলায় কোর্টে আর্জি ধৃত কুন্তল ঘোষের

শুনানিতে কুন্তল বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “দু’বছর ধরে জেলে আছি। হয় সাজা দিয়ে দিন, না হলে ছেড়ে দিন।” আদালতে সিবিআই জানায়, প্রাথমিক মামলায় তারা চার্জগঠনের জায়গায় রয়েছে।

কুন্তল ঘোষ।

কুন্তল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ১৭:৪১
Share: Save:

আদালতের কাছে দ্রুত বিচার চেয়ে আর্জি জানালেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ। মঙ্গলবার প্রাথমিক মামলার শুনানি ছিল কলকাতার বিচার ভবনে, বিশেষ সিবিআই আদালতে। আদালতে হাজির করানো হয় প্রাথমিক মামলায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল, কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেনকে।

শুনানিতে কুন্তল বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “দু’বছর ধরে জেলে আছি। আমরা দ্রুত বিচার চাই। হয় সাজা দিয়ে দিন, না হলে ছেড়ে দিন।” আদালতে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি জানান, প্রাথমিক মামলায় তদন্তকারী সংস্থাটি চার্জগঠনের জায়গায় রয়েছে। তাই চার্জগঠন করতে দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্টে প্রাথমিক মামলার শুনানিতে সম্প্রতি সিবিআইয়ের তরফেই জানানো হয়েছে, এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত চলছে। সিবিআইয়ের দু’রকমের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। অসন্তুষ্ট বিচারক প্রশ্ন তোলেন, তদন্ত এবং চার্জগঠন কী ভাবে একসঙ্গে হতে পারে? বিচার ভবনে সিবিআইয়ের প্রাথমিক মামলার শুনানি শেষ হলেও এখনও কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক।

গত শনিবার ইডির মামলায় আদালতে হাজির করানো হয়েছিল কুন্তলকে। ওই দিন তাঁর আইনজীবী ইডির তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিচারককে জানান, বার বার ইডি দাবি করছে, তাদের তদন্ত চলছে। আবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের কথাও বলা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হলে বিচার কবে হবে, তা জানতে চান কুন্তলের আইনজীবী। শনিবার আদালত থেকে বেরোনোর সময়ে কুন্তল জানিয়েছিলেন, রবিবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে থাকতে পারবেন না বলে তাঁর মনখারাপ। বলেন, ‘‘ফাঁদে পড়ে আছি। বিচার পাচ্ছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Primary Recruitment Case CBI Kuntal Ghosh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE