প্রতীকী ছবি
আমলাদের নজরদারি আর খবরদারি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ। হুমকি দিয়েছিলেন ইস্তফারও। শেষ পর্যন্ত তাঁদের চাপেই পিছু হটতে বাধ্য হল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, সরকারি চিকিৎসকদের সপ্তাহে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। কিন্তু টানা কাজ করলে চলবে না। অন্তত ছ’দিন হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে হবে। সেই নির্দেশ জারির পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন চিকিৎসকদের একাংশ।
সরকারি চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, তাঁরা হাসপাতালে কত ক্ষণ থাকবেন, তার উপরে আমলারা নজরদারি চালাবেন কেন? রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী হাসপাতালে কাজ সামলান চিকিৎসকেরা। তাঁদের কাজের সময় প্রয়োজন অনুযায়ী ভাগ করে নেওয়া হয়। তাই সেটা সপ্তাহে ক’দিন হবে, কী ভাবে ঘণ্টার হিসেব হবে, সেই বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনের আমলাদের হস্তক্ষেপকে কর্মস্থলের সমস্যা হিসেবেই চিহ্নিত করেছিলেন তাঁরা। আমলাদের নজরদারি চলতে থাকলে ইস্তফার সিদ্ধান্তও নেন সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ।
তার পরেই সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয় স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার ফের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, সপ্তাহে চিকিৎসকদের কাজের সময় ন্যূনতম ৪০ ঘণ্টা। তবে সপ্তাহে ক’দিন হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে হবে, তার কোনও নির্দেশ নেই।
চিকিৎসকদের একাংশ, এই নির্দেশকে চিকিৎসকদের আন্দোলনের জয় বলেই মনে করছেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরিবর্তে আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে বলেই বারবার অভিযোগ উঠছিল। চিকিৎসক শিবিরের অভিযোগ, নজরদারির নামে সরকারি হাসপাতালে নানা ভাবে ডাক্তারদের হেনস্থার ঘটনা ঘটছে হামেশাই। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরের পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy