রাস্তায় যুব কংগ্রেসের প্রতিবাদে বিরোধী দলনেতা ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকারের কাজকর্মের বিরুদ্ধে ফের বিক্ষোভ হল কলকাতার পথে। ভিন্ রাজ্যের এক মুখ্যমন্ত্রীর যত কুশপুতুল দু’দিন ধরে শহরের নানা প্রান্তে পুড়ল, সাম্প্রতিক কালে কারও ক্ষেত্রে তা ঘটেনি!
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের হাথরসে এক দলিত কিশোরীর গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের হাতে না দিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যে ভাবে তার দেহ জোর করে পুড়িয়ে দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল নানা দল ও সংগঠন। তার সঙ্গেই হাথরসে ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা বঢরাদের পুলিশি হেনস্থা এবং লাঠি চালানোর ঘটনার খবর পেয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে এ রাজ্যের কংগ্রেস।
লোকভায় বিরোধী দলের নেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও রাহুলদের সঙ্গে ছিলেন। যোগীর পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে এ দিন সন্ধ্যায় শহরে বিজেপির রাজ্য দফতরের অদূরে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে বসেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। অধীরবাবুর নির্দেশে আজ, শুক্রবারও জেলায় জেলায় প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: রাহুলকে গলাধাক্কা, হাথরস ঘিরে দিনভর তপ্ত রাজনীতি, রাতে হস্তক্ষেপ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের
যুব কংগ্রেসের ডাকে মহাজাতি সদনের সামনে জমায়েত করে এ দিন বিজেপি দফতরের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বিরোধী দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী, প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান, সন্তোষ পাঠক-সহ দলের বহু নেতা-কর্মীই প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন। বিজেপি দফতরের কিছুটা আগে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই রাস্তায় ধর্নায় বসেন মনোজবাবুরা। মান্নান বলেন, ‘‘যে ভাবে হাথরসে এক কিশোরীর গণধর্ষণের পরে অপরাধীদের না ধরে পুলিশ মেয়েটির দেহ জোর করে পুড়িয়ে দিয়েছে, তার প্রতিবাদে সারা দেশের মানুষ সরব। নির্লজ্জ যোগী সরকার তার পরে আবার রাহুল গাঁধীদের হেনস্থা করেছে। গণ-আন্দোলন করেই এদের জবাব দিতে হবে।’’
আরও পড়ুন: ভয় দেখিয়ে গ্রাম ঘিরল যোগী-প্রশাসন
রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে পুলিশি হেনস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর পদত্যাগ দাবি করেছে তারা। একই দাবিতে খিদিরপুর ও তারাতলায় মিছিল হয়েছে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণই হয়নি, বলছে পুলিশ
কংগ্রেসের কলকাতা জেলা ছাত্র পরিষদের ডাকে মৌলালির মোড়ে বিক্ষোভ ও যোগীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। মৌলালির মোড়ে এ দিনই যোগীর কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের মহিলা, ছাত্র, শ্রমিক ও যুব সংগঠন। প্রতিবাদ-সভায় ছিলেন লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ, মহিলা সংগঠনের ইন্দ্রাণী দত্ত, ছাত্র সংগঠনের নেত্রী অন্বেষা রায় প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy