Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Alapan Bandyopadhyay

হরি-ভগবতী যুগলবন্দি এ বার নবান্নে

অর্থসচিবের পদে কার্যত রেকর্ড সময় ধরে থাকার ফলে রাজ্যের ভাঁড়ার সম্পর্কে তাঁর থেকে বেশি ওয়াকিবহাল আমলা পাওয়া মুশকিল।

দায়িত্বভার গ্রহণের পরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে  নতুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (মাঝখানে)

দায়িত্বভার গ্রহণের পরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নতুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (মাঝখানে) এবং নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২১ ০৫:৪৭
Share: Save:

এ যেন আশ্চর্য সমাপতন!

অতিরিক্ত জেলাশাসক হিসেবে দু’জনেই ছিলেন বালুরঘাটে। আবার এক জন যখন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক, অন্য জন তখন অতিরিক্ত জেলাশাসক! হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকার সেই জুটির কাঁধে এ বার রাজ্য প্রশাসনের প্রথম ও দ্বিতীয় স্তম্ভের দায়িত্ব। দু’জনেই সোমবার নবান্নে নতুন দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।

১৯৮৮ ব্যাচের অফিসার হরিকৃষ্ণ প্রশাসনিক মহলে ঠান্ডা মাথার আমলা হিসেবে পরিচিত। অর্থসচিবের পদে কার্যত রেকর্ড সময় ধরে থাকার ফলে রাজ্যের ভাঁড়ার সম্পর্কে তাঁর থেকে বেশি ওয়াকিবহাল আমলা পাওয়া মুশকিল। কর্মজীবন শুরু কালনার মহকুমাশাসক হিসেবে। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক, বালুরঘাটের অতিরিক্ত জেলাশাসক, দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের এমডি, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের সিইও-র পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনায় জেলাশাসকের পদে ছিলেন। তার পরে এক বছরের জন্য লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সে পড়াশোনা। ফিরে এসে কিছু দিন স্বাস্থ্য দফতরে ছিলেন। পরে কমার্শিয়াল ট্যাক্স কমিশনার। ২০১২-য় হন অর্থসচিব। ২০২০ পর্যন্ত সেই পদেই ছিলেন। ওই বছরেই অর্থসচিব থেকে স্বরাষ্ট্রসচিব হন দ্বিবেদী। এ দিন সেই পদ থেকেই ১৯৮৭ ব্যাচের নবীন প্রকাশ ও সুনীল গুপ্তকে পিছনে ফেলে মুখ্যসচিব হলেন তিনি। তালিকায় দ্বিবেদীর আগে থাকা ব্যাচমেট ইন্দীবর পাণ্ডে এখন কেন্দ্রীয় সরকারে রয়েছেন।

দ্বিবেদীর পরের ব্যাচের (১৯৮৯) আইএসএস গোপালিকাও তাঁর আগের ব্যাচের দু’জন সিনিয়রকে পিছনে ফেলে স্বরাষ্ট্রসচিব হয়েছেন। কাকতালীয় হলেও দ্বিবেদীর মতো গোপালিকার আগে থাকা দুই
ব্যাচমেট এস কিশোর এবং চন্দন সিংহ কেন্দ্রীয় সরকারে ডেপুটেশনে রয়েছেন। গোপালিকার কর্মজীবন শুরু হলদিয়ার মহকুমাশাসক হিসেবে। পরবর্তী কালে মালদহ এবং বালুরঘাটের এডিএম ছিলেন। দ্বিবেদী মুর্শিদাবাদে জেলাশাসক থাকার সময় তিনি ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। ছিলেন রাজ্যের ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন এবং যুব কল্যাণ দফতরের অধিকর্তার পদেও। জেলাশাসক হিসেবে কাজ করেছেন পুরুলিয়ায়। অনগ্রসর জাতি কল্যাণ দফতরের কমিশনার এবং ভূমি সংস্কার দফতরেও কাজ করেছেন। সংখ্যালঘু উন্নয়ন, অনগ্রসর জাতি কল্যাণ, পরিবহণ, পুর ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের সচিব ছিলেন। প্রাণিসম্পদ বিকাশ এবং কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক দফতরের সচিব থেকেই এ দিন স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Alapan Bandyopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy