—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ১২ নভেম্বর থেকে স্কুলে আসছে না সে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তার পরে তিন দিন যোগাযোগ করা গিয়েছিল তার সঙ্গে। কিন্তু এখন আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার লক্ষ্মীপুর হাই স্কুলের করণিক বাবুল হুসেন ওরফে বাবরকে। রাজ্য পুলিশ সূত্রের দাবি, ট্যাবের টাকা প্রতারণায় তার যুক্ত থাকার কিছু প্রমাণ মিলেছে। তাই তাকে যত দ্রুত সম্ভব ধরার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে, বুধবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের ইসালমপুর থেকে বনগাঁর সাইবার অপরাধ থানা এক জনকে এবং শিলিগুড়ি থেকে বর্ধমানের পুলিশ আর এক জনকে গ্রেফতার করেছে। ট্যাব-কাণ্ডে এখন ধৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭-এ।
ভবানী ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাবের টাকা হাতানোর অভিযোগে ১,১৯০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করেছে বিভিন্ন জেলার তদন্তকারী দল। ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে মোট প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আটকানো হয়েছে। সেই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরানোর জন্য জেলার আদালতগুলিতে আবেদন করছে পুলিশ। বুধবার পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করেছে মালদহ জেলা পুলিশ। কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে এটিএম ব্যবহার করে টাকা তুলে নিয়েছে অভিযুক্তেরা।
এই গোটা চক্রের সঙ্গে বাবুল ওরফে বাবরের কী যোগ, খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। ২০১৮ সালে কেরলের সরকারি প্রকল্পের টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয় বাবুল। পরে জামিন পায়। চোপড়ার ওই স্কুল সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের শেষ দিকে সেখানে করণিকের চাকরি পায় সে। ট্যাবে ধরপাকড় শুরু হতেই বাবুল উধাও হয়েছে। ইসলামপুরের তার ভাড়াবাড়িতে গিয়েও খোঁজ মেলেনি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি। বৃহস্পতিবার বাবুলের পরিবার যদিও দাবি করে, প্রমাণ ছাড়াই তাকে বদনাম করা হচ্ছে।
বুধবার রাতে ইসলামপুরের রামগঞ্জের খোঁচাবাড়ি থেকে মহম্মদ বাহারুদ্দিন নামে এক জনকে ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পুলিশ। ধৃতের পরিবারের দাবি, বাহারুদ্দিন চাষ করে। তার অ্যাকাউন্ট নম্বর গ্রামের এক জনকে দিয়েছিল। বনগাঁর দু’টি স্কুলের কিছু পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা হাতানোর তদন্তে নেমে তার খোঁজ মেলে বলে দাবি পুলিশের।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাবের টাকা জমা পড়েছে, এমন ন’জন অ্যাকাউন্ট মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিহারের কিসানগঞ্জের যুবক রবীন্দ্রপ্রসাদ সিংহের নাম মেলে। পুলিশ জানায়, সে চোপড়ায় একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালাত। সম্প্রতি চোপড়া থেকে কয়েক জন ধরা পড়তেই সেশিলিগুড়িতে আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার দেবীডাঙা থেকে তাকে ধরা হয়। পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিহারের ওই যুবক গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য জোগাড় করে দিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy