Sourced by the ABP
বিধাননগর পুরসভা এলাকা থেকে বেআইনি হোর্ডিং সরাতে সময় বেঁধে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে পুরসভা নোটিস দেবে এবং তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত বেআইনি হোর্ডিং সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে সংস্থাগুলিকে। তা না-হলে পুরসভা আইনানুগ পদক্ষেপ করবে ও হোর্ডিং সরিয়ে দেবে। তবে, বেআইনি হোর্ডিং সরানোর খরচ বহন করতে হবে বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে আদালতকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ডিসেম্বর।
এ দিন আদালতের নির্দেশের পরেই পুরসভা নড়ে বসে। পুরসভা সূত্রের খবর, বৈধ ১৩০টি হোর্ডিং বাদ দিয়ে বাকি হোর্ডিং কাটার জন্য দরপত্র ডাকা হচ্ছে। শুরু হবে বৈধ হোর্ডিং চিহ্নিতকরণের কাজও। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা বার বারই বলেছি, বাম আমলে ১৩০টি হোর্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার পরে আমরা কোনও হোর্ডিংয়ের অনুমতি দিইনি। সবই বেআইনি। আমরা যত বার হোর্ডিং কেটেছি, তত বার নতুন হোর্ডিং বসেছে। এত লোকবল আমাদের নেই যে, প্রতি বারই এর মোকাবিলা করব। এ বার হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। সেই মতো যা করার করা হবে।’’
বিধাননগর পুর এলাকার বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে মামলা করেছিলেন আইনজীবী দিব্যায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলায় পুরসভার রিপোর্ট তলব করেছিল হাই কোর্ট। এ দিন সেই রিপোর্ট দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। পুরসভার আইনজীবী শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৩৫১টি সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু মাত্র দু’টি সংস্থা পুরসভার নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন লাগানোর অর্থ জমা দেয়। তিনি এ-ও দাবি করেন, হোর্ডিং ও বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সব সংস্থাকেই অনুমতি নিতে ও অর্থ জমা করতে নোটিস পাঠিয়েছে পুরসভা। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বেআইনি হোর্ডিং লাগানো সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পুরসভার পদক্ষেপ না করার ক্ষেত্রে উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তায় উষ্মা প্রকাশ করেছে। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনমের পর্যবেক্ষণ, ‘‘রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, পুরসভার কড়া পদক্ষেপ করার সদিচ্ছা নেই।’’ মামলাকারী জানান, পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন ২০০৬ অনুযায়ী, বেআইনি ভাবে হোর্ডিং ও ব্যানার দিলে গ্রেফতার, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ছ’মাসের জেল হতে পারে।
উল্লেখ্য, বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে বিধাননগরবাসী তথা সল্টলেকের বাসিন্দাদের অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। এক দিকে দৃশ্যদূষণ, অন্য দিকে বিরাট আকৃতির হোর্ডিং বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে থাকে। ঝড়-ঝঞ্ঝার সময়ে হোর্ডিংয়ের আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা রীতিমতো ত্রস্ত হয়ে থাকেন। আমপানের সময়ে বাগুইআটি মোড়ের কাছে উড়ালপুলের চেয়েও উঁচু একটি হোর্ডিংয়ের কাঠামো বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে পড়েছিল, যেটি কাটতে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগে পুরসভার। এ বার আদালতের হস্তক্ষেপে সেই উপদ্রব কমবে বলে মনে করছেন বাসিন্দাদের অনেকে। মামলাকারী আইনজীবীর দাবি, ১৩০টি অনুমোদিত হোর্ডিংয়ের জায়গায় প্রায় আড়াই হাজার হোর্ডিং আছে এই পুর এলাকায়। বহু ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হোর্ডিং বসানো হয় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy