প্রয়াত সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত। —ফাইল চিত্র
প্রাক্তন সাংসদ ও বাম শ্রমিক আন্দোলনের নেতা গুরুদাস দাশগুপ্তের শেষ যাত্রায় নানা দলের রাজনীতিকদের পাশাপাশি শরিক হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। সংসদীয় রাজনীতির রীতি-নীতি শেখার ক্ষেত্রে সদ্যপ্রয়াত গুরুদাসবাবু তাঁর কাছে শিক্ষক ছিলেন বলে স্মরণ করেছেন রাজ্যপাল। বিজেপির কোনও নেতাকে অবশ্য শেষকৃত্যের আগে শ্রদ্ধা জানানোর আসরে দেখা যায়নি।
সিপিআইয়ের রাজ্য দফতর ভূপেশ ভবনে শুক্রবার গুরুদাসবাবুর মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন ধনখড়। প্রথা ভেঙে এই প্রথম কোনও রাজ্যপাল কোনও রাজনৈতিক দলের দফতরে গেলেন বলে জানাচ্ছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিকেরা।
প্রয়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং অন্য বাম নেতৃত্বের সঙ্গে পরিচয় করে আলাপচারিতা সারেন রাজ্যপাল। সই করে মন্তব্য লেখেন সিপিআই দফতরে রাখা স্মরণ করার খাতায়। পরে তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের সরকারে বামপন্থীরা-সহ ২৩টি দল সমর্থক ছিল। সেই সময়ে সংসদীয় দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি গুরুদাসবাবুর কাছে সংসদীয় রীতি-নীতি শিখেছি। উনি আমার কাছে শিক্ষক ছিলেন।’’
গুরুদাস দাশগুপ্তকে শ্রদ্ধা জানাতে ভূপেশ ভবনে বাম নেতৃত্বের সঙ্গে কংগ্রেস নেতারা। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র
পার্ক সার্কাসের ‘পিস ওয়ার্ল্ড’ থেকে নিয়ে এ দিন সকালে গুরুদাসবাবুর মরদেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চেতলা সেন্ট্রাল রোডে তাঁদের আবাসনে। সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানান চেতলারই বাসিন্দা, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বাড়ি থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বৌবাজারে এআইটিইউসি-র রাজ্য দফতরে। গুরুদাসবাবু টানা ১৬ বছর ওই শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এআইটিইউসি হয়ে মরদেহ নিয়ে গিয়ে রাখা হয় ভূপেশ ভবনে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তীরা সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শোক-বার্তা দিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। বামফ্রন্টের সব শরিক দল ছাড়াও পিডিএসের সমীর পূততুণ্ড ও অনুরাধা পূততুণ্ড, এসইউসি-র সৌমেন বসুরা গিয়েছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে। ভূপেশ ভবন থেকে শোক-মিছিল যায় কেওড়াতলা শ্মশানে। কেওড়াতলায় দুপুরে শেষকৃত্যের সময়ে উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসবাবুর আত্মীয় এবং তৃণমূল বিধায়ক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। বিজেপির দুই নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায় অবশ্য বৃহস্পতিবার রাতে ‘পিস ওয়ার্ল্ড’-এ গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy