Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
school

Schools, Colleges Reopening: রাজ্যে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ফেসবুকে সরব বিশিষ্টজন এবং অভিভাবকেরা

‘প্রতিবাদ’ সম্পর্কে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা স্কুল খুলতেই চাই।’’

অবিলম্বে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে সরব বিশিষ্টজনেরাও।

অবিলম্বে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে সরব বিশিষ্টজনেরাও। ফাইল চিত্র ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৩২
Share: Save:

শোরগোল পড়েছে ফেসবুকে। বুধবার থেকে একটি পোস্ট ‘ভাইরাল’ হয়েছে। সই সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। যেখানে সাধারণ অভিভাবক থেকে শুরু করে সামিল হতে শুরু করেছেন বিশিষ্টজনেরাও। তাঁদের দাবি, রাজ্যে এ বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক। নচেৎ তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।

করোনা আবহ থাকলেও একের পর এক ক্ষেত্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এক এক করে খুলে দেওয়া হয়েছে পানশালা থেকে শুরু করে সিনেমা হল-শপিং মল ইত্যাদি। বিবাহ অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রিতের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে সম্প্রতি ২০০ করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলা হয়েছে। প্রায় একমাস পিছিয়ে দিলেও হবে কলকাতা বইমেলাও।

সেই প্রেক্ষিতেই এ বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি। #openschoolcollegeuniversities। এই ‘হ্যাশট্যাগ’ পোস্ট দিয়ে করোনার জন্য বন্ধ স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জানানো শুরু হয়েছে। যাতে বৃহস্পতিবার নাম দেখা গেল বিশিষ্ট গায়ক শ্রীকান্ত আচার্য এবং তাঁর গীতিকার স্ত্রী অর্ণা শীলেরও।

ওই ‘প্রতিবাদ’ সম্পর্কে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা স্কুল খুলতেই চাই। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি প্রতিদিন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা এবং তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী উপযুক্ত সময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, আগামী সোমবার থেকে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রে খুলে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঘটনাচক্রে, কোভিড সংক্রমণের খাতায় পশ্চিমবঙ্গের অনেকটাই উপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন-সম্পৃক্ত যে বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, তার শুরুটি যথেষ্ট আক্রমণাত্মক। তাতে বলা হয়েছে, ‘যতদিন না গর্জে উঠব, ততদিন সুরাহা হবে না। অভিভাবক হিসেবে বলছি, এবার মনে হয় গর্জে ওঠা দরকার প্রত্যেক অভিভাবকের। আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, নষ্ট করে দিচ্ছে। মা/বাবা হিসেবে সন্তানের এত বড় ক্ষতিতেও যদি আওয়াজ না তুলি, তা হলে তো মা-বাবা হওয়ার যোগ্য নই।’

আরও বলা হয়েছে, ‘ভীষণ ভাবে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে ইউনিভার্সিটি-কলেজ-স্কুল খোলা হোক। করোনার গল্প অনেক হল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে আর খেলবেন না। তাদের ভাল ভাবে থাকার রাস্তাটা বন্ধ করে দিয়ে যাবেন না।’

এর পরেই পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, ‘যদি একমত হন, তা হলে কপি-পেস্ট করে নীচে নিজের নাম যুক্ত করে পোস্টটা এগিয়ে নিয়ে যান। ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না টনক নড়ে।’ আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, যাঁরা স্কুল-কলেজ বন্ধের পক্ষে, তাঁরা কিছুদিন পরেই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেবেন। তাই যে তরুণ প্রজন্ম বেঁচে থাকবে, তাদের ভাল থাকার খাতিরে যেন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শীঘ্রই খুলে দেওয়া হয়।

তার পর থেকেই ফেসবুকে সই সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সাক্ষরকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। যেমন শুক্রবার ওই আবেদনে সই করেছেন শ্রীকান্ত-অর্ণা।

অন্য বিষয়গুলি:

school College reopening facebook post Protest srikanto acharya Bratya Basu West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy