চলছে পুলিশি টহল। রবিবার। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র হল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। রবিবার সকাল পর্যন্ত তা চলে। বোমাবাজি, বাড়িঘর ও বাইক ভাঙচুর, খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটায় আতঙ্কে রয়েছেন হাদিপুর-ঝিকরা ২ পঞ্চায়েতের হরপুকুর এলাকার বাসিন্দারা। অনেক বাড়ির পুরুষই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। গ্রামের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে আজ, সোমবার কী ভাবে অঙ্ক পরীক্ষা দিতে যাবে তা নিয়ে চিন্তায় তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে ৮টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে। দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকায় পঞ্চায়েত প্রধান সাহাবুদ্দিন মণ্ডল ও পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল রাজ্জাকের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নিয়ে দু’জনের মধ্যে গোলমাল বাধে। এ দিন দুই পক্ষই এলাকায় নিজেদের শক্তি দেখাতে বোমাবাজি করে। বোমার সঙ্গে গুলিও চলছে বলে দাবি গ্রামবাসীর। যদিও পুলিশ গুলির কথা মানতে চায়নি। গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এটি কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা।’’
কী কারণে এই সংঘর্ষ?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা ব্লকের চারটি পঞ্চায়েতের বুথ কর্মীদের নিয়ে শনিবার স্থানীয় বেলিয়াঘাটা এলাকায় বৈঠক করেন তৃণমূল নেতারা। সেখানে নুরুল ইসলামও ছিলেন। হরপুকুর এলাকাটি হাড়োয়া বিধানসভার মধ্যেই পড়ে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। বুথের কর্মীরা যাঁকে সমর্থন করবেন তাঁকেই প্রার্থী করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বৈঠকের পর সন্ধ্যা থেকে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল বাধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy