থানা থেকে সাপটি ধরেছেন সর্পবিদ অরুণ প্রসাদ। নিজস্ব চিত্র
রজ্জুতে সর্পভ্রম নয়। বরং সাক্ষাৎ সর্পদর্শন। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়াল ব্যান্ডেলে রেলপুলিশের দফতরে।
মঙ্গলবার থানার কম্পিউটার রুমে কখন যে সাপ ঢুকে পড়েছিল তা টের পাননি পুলিশকর্মীরা। আমচকা কম্পিউটার অপারেটর লক্ষ করেন, মনিটরের পিছন থেকে কী যেন উঁকি দিচ্ছে। উঠে দাঁড়াতেই তাঁর নজরে আসে মস্ত এক সাপ। থানা জুড়ে বেধে যায় হুলস্থুল। সাপ তাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা। চোর-ডাকাত ধরতে তাঁরা পারদর্শী হলেও এ ক্ষেত্রে ‘অনুপ্রবেশকারী’কে ধরতে ব্যর্থ হন।
শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এক সর্পবিদকে ডেকে আনা হয়। ব্যান্ডেলের বাসিন্দা অরুণ প্রসাদ নামে ওই সর্পবিদ সাপটি ধরার পর স্বস্তি ফেরে থানায়। অরুণ জানিয়েছেন, সেটা দাঁড়াশ সাপ এবং নির্বিষ। তাঁর মতে, ‘‘সম্ভবত খাবারের খোঁজে থানায় ঢুকে পড়েছিল সাপটি।’’ ওই থানার কম্পিউটার অপারেটর উৎপল দাস অবশ্য বলছেন, ‘‘অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এ ভাবে যদি সাপ দফতরে ঢুকে যায় তা হলে কী করব? থানার পাশে ঝোপঝাড় আছে। সেখান থেকেই সম্ভবত সাপটি এসেছে। এ বার না হয় দাঁড়াশ ধরা পড়ল। পরের বার তো বিষাক্ত সাপও হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy