প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রাদুর্ভাবে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা তো বাতিল হয়েছেই। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রেও এ বার কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে না। দুই স্তরেই ভর্তি নেওয়া হবে শেষ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে। ভর্তির আবেদনের জন্য কোনও ফি নেওয়া যাবে না।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বুধবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলির উপাচার্যদের বৈঠকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। স্থির হয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল সিমেস্টার পরীক্ষার নির্ঘণ্টও। তবে প্রবেশিকা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে অনেক আগেই ভর্তি-পরীক্ষার সিদ্ধান্ত এবং আবেদন নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। তিনি জানান, গত কয়েক বছরের মতো জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেবে বলে ঠিক হয়ে আছে। প্রবেশিকা দেবেন বলে হাজার হাজার পড়ুয়া আবেদন করেছেন। শিক্ষা সূত্রের খবর, ঠিক হয়েছে, এই সমস্যা মেটাতে উচ্চশিক্ষা দফতর, প্রেসিডেন্সির উপাচার্য এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা পরে আলোচনা করবেন।
এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়-ভিত্তিক পোর্টাল ২ থেকে ২০ অগস্ট পর্যন্ত খোলা থাকবে। আবদেনকারীদের মেধা-তালিকা প্রকাশিত হবে ৩১ অগস্টের মধ্যে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে। ক্লাস শুরু হবে ১ অক্টোবর। স্নাতকোত্তরের ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারবেন। ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেরোবে মেধা-তালিকা। ভর্তির শেষ দিন ২২ অক্টোবর। অক্টোবরেই ক্লাস শুরু হবে।
স্নাতকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিমেস্টার পরীক্ষার ফল ৩১ অগস্টের মধ্যে এবং অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষার ফল ৩১ অগস্টের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। স্নাতকদের উচ্চশিক্ষার কথা ভেবেই চূড়ান্ত সিমেস্টারের ফলাফলের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্নাতকোত্তরের ফাইনাল সিমেস্টারের ফল প্রকাশ করা হবে ৩১ অগস্টের মধ্যে। অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষা অগস্টেই নিতে হবে। ফলাফল প্রকাশিত হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
অতিমারির দাপটে উচ্চ মাধ্যমিক, আইএসসি এবং সিবিএসই দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করার কথা। এই অবস্থায় ওই ফল, নাকি প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে— এ দিনের বৈঠকে যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। করোনার এই পরিস্থিতিতে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে পরে জানিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধাদেবী জানান, প্রবেশিকা পরীক্ষার ব্যাপারে তাঁরা কতটা এগিয়ে গিয়েছেন।
বৈঠকে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভর্তির আবেদনের ফি এ বারেও নেওয়া যাবে না। স্নাতকোত্তর স্তরে ৮০% ভর্তি নেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পড়ুয়াদের মধ্য থেকে। বাইরে থেকে ভর্তি হবে বাকি ২০% শতাংশ আসনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy