ফাইল ছবি।
রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের ধর্না মঞ্চ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের পরিজনকে নিয়ে মিছিল করে রাজভবনে বিজেপি নেতারা। দেখা করলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। দিলেন স্মারকলিপি। বিজেপি নেতাদের পাশে নিয়ে কড়া মন্তব্যে রাজ্যপাল ধনখড় বিঁধলেন রাজ্যকে। মুখ্যমন্ত্রীকে দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার পরামর্শ। পাল্টা রাজ্যপালকে কটাক্ষ তৃণমূলের।
একুশের বিধানসভা ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসায় মৃত্যু হয়েছে তাদের কর্মী সমর্থকদের, এমনই দাবি করে বিজেপি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইটে জানিয়েছিলেন, সেই ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সঙ্গে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রমুখ। সেই মতোই মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপি নেতারা যান রাজভবনে। সেখানে রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন স্মারকলিপি। তার পর রাজ্যপাল নিজের ভাষণে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে রাজ্যের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হচ্ছে।’’ এর পরই টেনে আনেন রামপুরহাটের বগটুই প্রসঙ্গ। ধনখড় বলেন,‘‘রামপুরহাটে ঘটনা ঘটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল। কিন্তু রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে নিপীড়িতরা কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না। দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে।’’ বাংলায় ভেদাভেদের রাজনীতি চলছে বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। এ দিন ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ধনখড়। মৃতদের পরিবার বিচার পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। তিনি নিজে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যপালের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ঐতিহ্যবাহী রাজভবনকে বঙ্গ বিজেপির রঙ্গমঞ্চে পরিণত করেছেন ধনখড়। অমিত শাহের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসুন রাজ্যপাল, কারণ তদন্ত তো করছে সিবিআই! এখানে রাজ্য সরকারের কী করার আছে।’’ কুণালের কটাক্ষ, কাশীপুরের ঘটনায় আদালতে মুখ পোড়ার পর বিজেপির মুখরক্ষার ভার নিয়ে মাঠে নেমেছেন রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy