ভূপতিনগরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আধিকারিকদের উপর হামলা নিয়ে এ বার সরব হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ধরনের ‘গুন্ডামি’ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন রাজ্যপাল।
২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম ওই ঘটনায় জড়িয়ে যায়। তদন্তের দায়িত্ব তাদের হাতে যাওয়ার পর এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীকে ডেকে পাঠিয়েছিল এনআইএ। সেই সময় সকলেই তদন্তে সহযোগিতা করেছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর আবার এই মামলায় ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে ওঠে এনআইএ।
শনিবার ভূপতিনগর থেকে স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিল এনআইএ। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ, স্থানীয়দের হামলার মুখে পড়তে হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। তাঁদের গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। সেখান থেকে কোনও ক্রমে বেরিয়ে যায় এনআইএ। পরে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ওই দুই নেতাকে।
আরও পড়ুন:
এনআইএ আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘‘এনআইএ অফিসারদের উপর এ হেন আক্রমণ খুবই গুরুতর ঘটনা। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে হুমকি দেওয়া কোনও কাজের বিষয় নয়। এই ঘটনাকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে।’’ দ্রুত পদক্ষেপ করার কথাও বলেন বোস।
রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। বোসের সাংবিধানিক অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় রাজ্যের শাসকদল। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘উনি (রাজ্যপাল) প্রশাসনিক প্রধান নন, মনোনীত মানুষ হিসাবে এসেছেন। আমরা আবার ওঁর সাংবিধানিক এক্তিয়ারের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীকে যা করার কথা তাঁকে সেটা করতে দিন। সাংবিধানিক এক্তিয়ারের বাইরে কথা বলার অভ্যাস বন্ধ করুন।’’