ব্যারাকপুরের হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্যের পরেই মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহ বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং তাঁর বিধায়ক পুত্র পবনকে গোটা হিংসার জন্য দায়ী করেন।
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের আক্রান্ত হওয়া এবং সেখানকার ধারাবাহিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজি) বীরেন্দ্রকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের তলবে এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ বীরেন্দ্র রাজভবনে যান। প্রায় এক ঘণ্টা রাজ্যপাল কথা বলেন ডিজি-র সঙ্গে।
সূত্রের খবর, প্রধানত ভাটপাড়া জগদ্দল-সহ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে এই বৈঠক হয়। তবে এর পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের রাজনৈতিক অশান্তি নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে দু’জনের।
সোমবার আহত সাংসদকে দেখতে ইএম বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শাসক দল এবং রাজ্য প্রশাসনকে ঘুরিয়ে সমালোচনা করে রাজ্যপাল মন্তব্য করেন, ‘‘আমাদের আইনের শাসন এবং শান্তিতে বিশ্বাস রেখে হিংসা পরিহার করা উচিত।”
আরও পড়ুন:ভাটপাড়া নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি, অর্জুন-তরজায় সরব রাজ্যপালও
আরও পড়ুন:বিজেপির বন্ধ ঘিরে দফায় দফায় অশান্তি ব্যারাকপুরে
রাজ্যপালের ওই মন্তব্য ঘিরে মুহূর্তে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কারণ রাজ্যপালের বয়ানের পাল্টা তৃণমূল মহাসচিবের প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘রাজ্যপালের কাছে আর কীই বা প্রত্যাশিত? তবে যাঁরা রাজ্যপাটে রয়েছেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত, উত্তরপ্রদেশ, কাশ্মীরের মতো রাজ্যেও পুলিশ আছে। কিন্তু সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাঁদের কারও মুখে কোনও কথা শোনা যায় না।”
ব্যারাকপুরের হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্যের পরেই মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহ বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং তাঁর বিধায়ক পুত্র পবনকে গোটা হিংসার জন্য দায়ী করেন।
অর্জুনকে নিয়ে রাজ্যপাল বনাম শাসকের তরজার পরের দিনই ডিজিকে তলব এই পরিস্থিতিতে অন্য মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করছেন নবান্নের শীর্ষ আমলারা। অর্জুনকে ঘিরে ব্যারাকপুরে গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা অশান্তি এবং হিংসার রিপোর্ট যে রাজ্যপালের হাত দিয়ে নয়াদিল্লিতে পৌঁছবে, সে বিষয়েও নিশ্চিত আমলাদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy