নিম্ন মানের শস্যবীজ, রোগগ্রস্ত বীজ চাষিদের দেওয়া হচ্ছে বলে আগে প্রায়ই অভিযোগ উঠত রাজ্য বীজ নিগমের বিরুদ্ধে। সেই জন্য চাষিরা সরকারি বীজ খামারের বদলে বাইরে থেকে বেশি টাকা দিয়ে বিভিন্ন শস্যের বীজ কিনে চাষ-আবাদ করতেন। বীজ নিয়ে আর যাতে কোনও অভিযোগ উঠতে না-পারে, সেই জন্য রাজ্যের আটটি জেলায় বীজ নিগমে কৃষি দফতরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, এত দিন বীজ নিগমগুলি দেখভাল করতেন সেখানকার আধিকারিকেরাই। এখন থেকে ওয়েস্টবেঙ্গল এগ্রিকালচার সার্ভিস প্রশাসনের আধিকারিকদের আটটি নিগমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উন্নত মানের বীজ কী ভাবে চাষিদের সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করবেন এই আধিকারিকেরা।
রাজ্য বীজ নিগমের এক পদস্থ কর্তা জানান, এই নিগম একটি সরকারি সংস্থা। এই সংস্থা সার, বীজ এবং চাষের সঙ্গে যুক্ত অন্য অনেক জিনিসপত্র নিয়ে ব্যবসা করে। ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে বীজ নিগম ২৪০. ৫৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
লাভ হয়েছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা। লাভজনক এই সংস্থাকে আরও উন্নত করতেই নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নথিভুক্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, কৃষক সমবায় সমিতি এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বীজ কেনা হয়। সেই বীজ সরবরাহ করা হয় জেলায় জেলায়। তা ছাড়াও সার ও অন্যান্য চাষের জিনিস, কিট সরবরাহ করে নিগম।
ওই কর্তা জানান, বীজ নিগমের অফিস আছে সব জেলাতেই। তার মধ্যে জলপাইগুড়ি, নদিয়া, মালদহ, বীরভূমের মতো আটটি জেলায় বীজ নিগমের আধিকারিক-পদ খালি ছিল। সেই সব জেলাতেই এগ্রিকালচার সার্ভিসের প্রশাসনিক আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে। পরে অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy