—ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স (রোপা) ২০১৯-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাতে ডিএ প্রসঙ্গ নেই। ফলে ভবিষ্যতে কী ভাবে ডিএ নির্ধারিত হবে, বা আদৌ তা পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কায় কর্মীমহল।
গত ২৬ জুলাই রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল (স্যাট) ডিএ মামলার রায়ে জানিয়েছিল, ডিএ-র ভিত্তি ‘কনজ়িউমার প্রাইস ইনডেক্স’। ডিএর পরিমাণ কত, তা ৩ মাসে নির্ধারণ এবং ৬ মাসে কার্যকর করতে হবে। বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে ১ বছরে। স্যাট আরও বলেছিল, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের পরে বছরে দু’বার ডিএ দিতে হবে এবং তাতে বৈষম্য চলবে না। কর্মিমহল এবং বিরোধী কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি, অতীতের সব রোপা-তে ডিএ-র উল্লেখ থাকত। এ বার না-থাকায় মনে করা হচ্ছে, সরকার আগামী দিনে হয়তো স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবে। তখন বেতন কমিশনের বাস্তবায়ন মসৃণ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কর্মীরা।
এক কর্মী-নেতার কথায়, ‘‘স্যাট রায় দিয়েছিল, ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করার আগে পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই রায় মানার কোনও ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। তা হলে ভবিষ্যতে ডিএ বিচারাধীন— এই যুক্তি দেখিয়ে সরকার কমিশনের প্রয়োগ যে স্থগিত রাখবে না, তার নিশ্চয়তা রয়েছে কি?’’
অন্য দিকে, ডিএ নিয়ে মূল মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সিদ্ধান্ত, রায় বেরনোর তিন মাসের মধ্যে সদুত্তর না-পেলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ জানিয়ে স্যাটের দ্বারস্থ হবে তারা। সেই হিসেবে আগামী মাসেই স্যাটে যেতে পারে কনফেডারেশন। কিন্তু বিষয়টি ফের বিচারাধীন হলে নতুন বেতন কাঠামো রূপায়ণ স্থগিত হতে পারে— এই আশঙ্কায় সংগঠনের উপর চাপ বাড়াচ্ছে কর্মিমহল। যদিও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের যুক্তি, ‘‘বকেয়া মহার্ঘভাতা পাওয়া গেলে বেতন কমিশনের সুপারিশের থেকেও অনেক বেশি হারে কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি হবে। সেই কারণেই আমরা আইনের পথ থেকে সরে আসছি না। কর্মীরা আমাদের উপর আস্থা রাখুন।’’
বিরোধী কর্মচারী সংগঠনগুলির ব্যাখ্যা, সপ্তম বেতন কমিশনের শুরুর পরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ১৭% ডিএ পাচ্ছেন। জানুয়ারি মাসে ফের এক কিস্তি ডিএ পাবেন। রাজ্যের কর্মীদের আর্থিক লোকসান হবে দুই থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy