লেক টাউন থানা এলাকার বৈঠকে গৌতম দেব। শনিবার শৌভিক দে-র তোলা ছবি।
তাদের শায়েস্তা করতে শাসক দল পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। এ বার সেই ‘অত্যাচারী’ পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব। পুলিশ অত্যাচার করলে অত্যাচারী পুলিশের বাড়িতে পোস্টার মারার জন্য দলীয় কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিশ মিথ্যা মামলা করলে তাদের বিরুদ্ধেও পাল্টা মামলা করা হবে বলে জানান গৌতমবাবু।
মিথ্যা মামলায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ফাঁসানো হচ্ছে— এই অভিযোগে জেলার ২০টি থানায় শনিবার অবস্থান বিক্ষোভ করে জেলা সিপিএম। তার মধ্যে একটি জায়গা ছিল লেকটাউন থানা। বিকেলে সেখানে জেলা সম্পাদক গৌতমবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ অত্যাচার করলে অত্যাচারী পুলিশের বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বের করুন। সেই পুলিশ কর্মীর বাড়ি পৌঁছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সে বিষয়ে জানান। সেই পুলিশ কর্মীর বাড়িতে পোস্টার মারুন।’’
বিধানসভা ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে শাসক দলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক ইতিমধ্যেই দিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি-সহ দলের বিভিন্ন নেতা। কংগ্রেস এবং বিজেপি-র নেতারাও মমতা-সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, তাঁদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় পুলিশ হেনস্থা করছে। তাঁর কথায়, ‘‘শাসক দলের লোকজনের হাতে পুলিশ মার খাচ্ছে। আর বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করেছে। তবে আমাদের কর্মীরা বাংলার নপুংসক পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন করছে। করবে।’’ একই ভাবে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও বলেন, ‘‘পুলিশের অন্যায় জুলুমের কাছে আমরা মাথা নোওয়াব না।’’
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য গৌতমবাবুর পুলিশের বিরুদ্ধে বক্তব্যকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গৌতমবাবুরা কথার চমক দিয়ে সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকতে চাইছেন। কিন্তু পোস্টার মারতে গেলেও
লোক দরকার হয়। সেই জনবল কি তাঁদের আছে? সিপিএমের নেতাদের মানুষ বর্জন করেছে। মানুষের মনেও তাঁদের স্থান নেই। তাই তাঁদের কথার গুরুত্বও নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy