নতুন কমিটিতে রাখা হল না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে
গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারির জন্য পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তাৎপর্যপূর্ণ হল, নতুন কমিটিতে রাখা হল না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। মঙ্গলবার এই রায়ের সঙ্গে একগুচ্ছ নির্দেশও দিয়েছে হাই কোর্ট। পক্ষান্তরে, কমিটি থেকে শুভেন্দুকে সরানোয় নিজেদের ‘জয়’ দেখছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যে করোনা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এই পরিস্থিতিতে এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখা উচিত। এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। এর সঙ্গে আরও পাঁচটি মামলা হয়। সব মামলাগুলি একত্র করে হাই কোর্টে শুনানি হয়েছিল। শুনানির পর তিন সদস্যের এখটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেখানে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন ওঠে, ওই কমিটিতে যে সব সদস্য রয়েছেন, তাঁরা কোভিড নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
পক্ষান্তরে, রাজ্যের তরফে ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিমুক্ত কমিটি’ গঠনের দাবি জানানো হয়। অর্থাৎ, নাম না করে শুভেন্দুকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী। রাজ্যের আর্জি ছিল, নিরপেক্ষ রিপোর্টের স্বার্থে ওই কমিটি থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরাতে হবে। মঙ্গলবার হাই কোর্টের রায় এক প্রকার সেই দিকেই গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু শুভেন্দুর থাকা নয়, আগের কমিটি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। পুরনো কমিটিতে রাখা হয়েছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে। ওই পদে নিয়োগ এখনও আটকে রয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, যে পদে নিয়োগই হয়নি, সেই পদের পদাধিকারী কী করে কমিটিতে থাকেন? এর পরই নতুন কমিটি গড়ার পক্ষে রায় দেয় হাই কোর্ট।
কমিটিতে কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করার আর্জিও জানানো হয়েছিল। জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হাই কোর্ট যে কমিটি তৈরি করেছে, তা শুধু মেলা বন্ধ হবে কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করা তাদের কাজ নয়। তারা শুধু স্বাধীন ভাবে মেলা বন্ধের সুপারিশ করতে পারে রাজ্যকে।’’
অবশেষে হাই কোর্ট পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন একটি কমিটি তৈরি করেছে। নতুন কমিটিতে অবশ্য কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে রাখা হয়নি। হাই কোর্ট বলেছে, মেলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এই নতুন কমিটি। তবে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে যাবতীয় বিধি-নিষেধ এবং ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy