প্রতীকী ছবি।
ক্যানিং-শিয়ালদহ শাখার ট্রেনে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের নিগ্রহের ঘটনায় বুধবার রাতে ক্যানিং থেকে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী ওই রাতেই নিগৃহীত শিক্ষক-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চার যুবকের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ক্যানিংয়ে ধৃত চার জনের নাম সুজন হালদার, তরুণ হালদার, সুরজিৎ হালদার এবং মৃণালকান্তি মণ্ডল। সুজন-তরুণ দু’ভাই। চার জনের বাড়ি ক্যানিং এলাকায়। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক চার জনকেই সাত দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অভিযোগ, ২০ জুন সঙ্গীদের নিয়ে মাদ্রাসার ওই শিক্ষক যে-ক্যানিং লোকালে উঠেছিলেন, একটি ধর্মীয় সংগঠনের কিছু লোকও তাতে ওঠেন। উঠেই তাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শুরু করেন। বালিগঞ্জ ও পার্ক সার্কাসের মধ্যে লোকাল ট্রেনে বাসন্তী থানার চুনাখালি গ্রামের বাসিন্দা বছর কুড়ির হাফিজ মহম্মদ শাহরুক হালদারকে প্রথমে তাঁর পোশাক ও ধর্মবিশ্বাসের কথা তুলে ক্রমাগত কটূক্তি করা হয়। শাহরুক প্রতিবাদ করায় তাঁর গলা চেপে ধরে শুরু হয় মারধর। তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বলা হয়ে বলেও অভিযোগ। পরে তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় পার্ক সার্কাস স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে। বালিগঞ্জ জিআরপি-তে কিছু যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরেই এসআরপি (শিয়ালদহ) অশেষ বিশ্বাসের নির্দেশে অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে ক্যানিংয়ে ঘাঁটি গাড়েন রেল পুলিশের কয়েক জন কর্মী। অভিযুক্তদের শনাক্ত করেন তাঁরা।
শাহরুকের সঙ্গে বুধবার ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই তিনি জানান, শাহরুক এবং নিগৃহীত অন্য তিন যুবকের প্রত্যেককে সরকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ কার্যকর হয় বুধবার রাতেই। ক্ষতিপূরণের চেক পেয়েছেন শাহরুক, তিতকুমার গ্রামের বাসিন্দা মান্নান আলি শেখ, আয়ুব আলি শেখ ও সইফুদ্দিন শেখ। ব্লক প্রশাসন ও পুলিশকর্তারা নিজেরা হাজির থেকে চেক তুলে দেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy