আরজি কর কাণ্ডের প্রততিবাদ। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির এক বিশেষজ্ঞ এবং কলকাতা পুলিশের এক আলোকচিত্রীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বুধবারও কলকাতা কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির তিন বিশেষজ্ঞের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার এক বিশেষজ্ঞও ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের ওই বিশেষজ্ঞের কয়েক ঘন্টা সবিস্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তদন্তকারীদের কথায়, ডিএনএ পরীক্ষা অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। এর জন্য সঠিক পদ্ধতিতে তাপমাত্রা অনুযায়ী নমুনা সংরক্ষণ করার পরে তা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। পরে ধাপে ধাপে ওই পরীক্ষা করা হয়।
তদন্তকারীদের কথায়, ময়না তদন্তের পর নিহত ডাক্তার ছাত্রীর শরীর থেকে রক্ত-সহ নানা নমুনা ঠিক ভাবে তাপমাত্রা অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ৯ অগস্ট সন্ধ্যার পরে ওই চিকিৎসকের ময়না তদন্ত করিয়ে শেষকৃত্য হয়। তাঁর শরীর থেকে সমস্ত নমুনাও তখনই সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, আরও পাঁচ দিন বাদে ১৪ অগস্ট ওই নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের জামাকাপড়ও প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পরে উদ্ধার হয় বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। তা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠাতেও দেরি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই কারণেই নমুনা সংগ্রহ এবং তা ল্যাবরেটরিতে পৌঁছনোর বিষয়ে খুঁটিনাটি জানতে ওই বিশেষজ্ঞের সবিস্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তদন্তকারীদের কথায়, "আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের বিরুদ্ধে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং নমুনা অদল বদলের যে অভিযোগ উঠেছে, তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই অভিযুক্ত এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন।
এ দিন চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃতদেহের নানা অংশের ছবি তোলা এক আলোকচিত্রীরও সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আর জি করের চেস্ট মেডিসিনের সেমিনার হলে দেহ পড়ে ছিল। দেহে আঘাতের নানা চিহ্নের ছবি তোলা হয়। ওই আলোকচিত্রীর দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এ দিনও আর জি কর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে বিশেষ গাড়িতে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তবে আদালতে যাতায়াতের পথে সঞ্জয়ের কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy